close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসায় বাংলাদেশে ৩০ হাজার বিদেশি: ভারত-চীনের আধিক্য, উদ্বেগে প্রশাসন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা: মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন প্রায় ৩০ হাজার বিদেশি নাগরিক। এর মধ্যে ভারত ও চীনের নাগরিকদের সংখ্যাই বেশি। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও
ঢাকা: মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন প্রায় ৩০ হাজার বিদেশি নাগরিক। এর মধ্যে ভারত ও চীনের নাগরিকদের সংখ্যাই বেশি। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও অধিকাংশই নবায়নের জন্য আবেদন করেননি, যা প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ৮ ডিসেম্বর এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়, বৈধ ভিসা ছাড়া অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবুও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ বিদেশি এখনো ভিসার নবায়নের উদ্যোগ নেননি। বিদেশিদের সংখ্যা ও জাতীয়তা ডেটাবেসের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে প্রায় ১,১৯,০০০ বিদেশি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—৪৫,০০০ জন। তাদের প্রায় ২৭,০০০ জনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। চীনা নাগরিকরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। দেশে অবস্থানরত ১০,০০০ চীনা নাগরিকের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের সাড়ে ৭ হাজার, কানাডার সাড়ে ৪ হাজার, নেপালের সাড়ে ৩ হাজার এবং জাপানের সাড়ে ৪ হাজার নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এছাড়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আরও প্রায় ১৭,০০০ জন বিদেশি রয়েছেন। জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জরিমানা বৃদ্ধি করে নতুন কাঠামো প্রণয়ন করেছে ডিআইপি। এখন প্রথম ১৫ দিনের জন্য প্রতিদিন ১,০০০ টাকা, এরপর প্রতিদিন ২,০০০ টাকা এবং ৯১ দিনের পর থেকে প্রতিদিন ৩,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ডিআইপির পরিচালক নাদিরা আক্তার বলেন, "জরিমানা বৃদ্ধি করায় অনেকেই আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন, বিশেষত আফ্রিকান ও চীনা নাগরিকরা।" অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারী বিদেশি মাদক চোরাচালান, জালিয়াতি, স্বর্ণ চোরাচালান, মানবপাচার এবং অবৈধ অর্থপাচারের মতো অপরাধে জড়িত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, "কিছু বিদেশি অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে অর্থপাচার করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগের প্রয়োজন।" বিশ্ববিদ্যালয় ও নিয়োগকারীদের ভূমিকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে বলে জানিয়েছে ডিআইপি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ার আগে ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট যাচাইয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, যারা নিয়োগ দিচ্ছেন, তাদেরও নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উদ্যোগ পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর বলেন, "বাংলাদেশে কোনো বিদেশির অবৈধভাবে থাকার সুযোগ নেই। যারা ভিসার মেয়াদ বাড়াবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" উপসংহার মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে অবস্থানকারী বিদেশিদের আইনি কাঠামোর আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা।
कोई टिप्पणी नहीं मिली