close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মার্কিন উপকূলে ইরানের মাদারশিপ! আকাশে ড্রোন উড়াচ্ছে ইরান, চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পর ঘরোয়া আলোচনায় বাইডে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইরান, যা দেশটির আঞ্চলিক ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করছে। তবে, এ পরিস্থিতিতে ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইরান, যা দেশটির আঞ্চলিক ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করছে। তবে, এ পরিস্থিতিতে ইরান নিজের শক্তি প্রদর্শনে তৎপর হয়ে উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, ইরান তার মাদারশিপের মাধ্যমে মার্কিন উপকূলে ড্রোন পাঠাচ্ছে, যা কেবল একটি সামরিক শো নয়, বরং একটি চমকপ্রদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ইরান তার একটি মাদারশিপকে মার্কিন উপকূলে পাঠিয়েছে, যা থেকে ড্রোন উড়ছে। এই ড্রোনগুলো বিশেষভাবে নিউজার্সিতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীর স্থাপনার ওপর নজর রাখছে এবং তাদের থেকে রহস্যজনক আলোর প্রদর্শন দেখা যাচ্ছে। এমনকি এই ড্রোনগুলোর উপস্থিতি স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। জেফ ভ্যান ড্রিউ-এর বিস্ফোরক দাবি মার্কিন রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান জেফ ভ্যান ড্রিউ এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “প্রায় এক মাস আগে ইরান একটি মাদারশিপ পাঠিয়েছে, যা থেকে তিনটি ড্রোন উড়ানো হচ্ছে। এই তথ্য আমি খুবই বিশ্বাসযোগ্য একটি সূত্র থেকে পেয়েছি।” তিনি আরও জানান যে, ড্রোনগুলো রাতে নিউজার্সির আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে এবং এর সঙ্গে কিছু রহস্যজনক ফ্ল্যাশ লাইটের আলোর প্রদর্শনী হচ্ছে, যা স্থানীয়দের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠছে। এদিকে, ড্রিউ দাবি করেন, এসব ড্রোনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগকে তৎপর হতে হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি হাউস ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার কমিটিতে থাকেন এবং তার মতে, এগুলো ভূপাতিত করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া তবে, ড্রিউ-এর এই দাবির সঙ্গে একমত নয় মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বুধবার একটি বিবৃতিতে দাবি করেছেন, “এই দাবির মধ্যে কোনও সত্যতা নেই।” তাঁর মতে, ইরান থেকে এমন কোনো ড্রোন মার্কিন আকাশে উড়ছে না। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে একেবারে কোণঠাসা করে রেখেছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষত তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে। যেই প্রক্সিদের ওপর ভর করে ইরান কখনও ইসরায়েলকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল, সেই প্রক্সিরাই এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে, ইরানকে এখন নিজের শক্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে। গত কয়েকদিনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন। তাছাড়া, ইসরায়েলও ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এদিকে, মার্কিন রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ইরান যে মাদারশিপ পাঠিয়েছে, তা মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য একটি গুরুতর বিপদ তৈরি করতে পারে। তবুও, পেন্টাগনের দাবি যে এটি একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ, তা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মধ্যে আরও একটি উত্তেজনাপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। চলমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ মধ্যপ্রাচ্যের এই রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা কীভাবে পরবর্তী স্তরে পৌঁছাবে, তা সময়ের সঙ্গে জানাবে। তবে, যেহেতু ইরান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ক্রমেই বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে, তাই এই পরিস্থিতি আগামী দিনে আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এবং ইরানের সামরিক পদক্ষেপ এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা আগামী কিছু সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে। এই খবরটি বিশ্বরাজনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
کوئی تبصرہ نہیں ملا