২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট দিনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ৮১৪.২৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, এই পরিমাণ রেমিট্যান্সের মধ্যে ২৯৯.৮০ মিলিয়ন ডলার রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলির মাধ্যমে এসেছে, বাকি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলির মাধ্যমে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৬০.১৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। পাশাপাশি, অন্যান্য ব্যাংকগুলোও যথেষ্ট পরিমাণ রেমিট্যান্স পেয়েছে, বিশেষত অগ্রণী, জনতা, রূপালী, সোনালী, বিডিবিএল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
অর্থপাচার কমে গেছে, হুন্ডির দৌরাত্ম্যও হ্রাস
রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ইতিবাচক পরিবর্তন মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকনির্দেশনা এবং সরকারের কঠোর নজরদারির ফল। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে অর্থপাচার কমে গেছে, যার ফলে হুন্ডির কারবারও হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি, খোলাবাজারের তুলনায় ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম এখন বেশ মানানসই। এসব কারণে প্রবাসীরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।
কিছু ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রবাহ নেই
তবে, কিছু ব্যাংক এখনও রেমিট্যান্স প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, এবং কিছু বেসরকারি ব্যাংক যেমন সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য:
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার) এসেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক খবর।
এ রকম উন্নত প্রবাহের কারণে, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসার এই হার চলতি বছর আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।