close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মানিলন্ডারিং মামলায় আহমেদীয়া সমিতির ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করলো সিআইডি..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলায় সিআইডি ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে।..

ঢাকা, বাংলাদেশ — গ্রাহকের আমানত আত্মসাতের অভিযোগে আহমেদীয়া ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এই ক্রোকের আওতায় পড়েছে রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিম মৌজায় অবস্থিত ‘ইউরো স্টার টাওয়ার’ নামক দশতলা বাণিজ্যিক ভবনটি। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্তে এই ভবনের সন্ধান পায় এবং আদালতের আদেশে ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই তা ক্রোক করা হয়।

আহমেদীয়া সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ ২০০৫ সালে আহমেদীয়া বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে নিবন্ধন নেন এবং পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে আহমেদীয়া ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে পুনঃনিবন্ধন করেন। প্রতিষ্ঠানটি সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণ কার্যক্রমের জন্য গঠিত হলেও, উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় এক হাজারের বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে মনির আহমেদ নিজের নামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন। এ প্রেক্ষিতে আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদসহ অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তদন্তে প্রকাশ পায়, এই অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের অধীনে বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় পড়ে। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলাটি তদন্ত করছে এবং ভবিষ্যতে আরও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে তা ক্রোক করা হতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের আর্থিক প্রতারণার ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই প্রেক্ষাপটে সিআইডির এই পদক্ষেপ গ্রাহক এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণা রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সমবায় প্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ আরো জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এই ঘটনা দেশের সমবায় খাতে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা সমবায় খাতের প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে দিতে পারে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণা রোধ করা জরুরি।

کوئی تبصرہ نہیں ملا