close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মামলা নিয়ে বাণিজ্য: নিষ্পাপদের হয়রানি আর অর্থ আদায়ের কালো ছায়ায় বিচারব্যবস্থা!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর পুরান ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের ছাত্র নাদিমুল হাসানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায়ের করা মামলাগুলোতে ক্রমেই
রাজধানীর পুরান ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের ছাত্র নাদিমুল হাসানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায়ের করা মামলাগুলোতে ক্রমেই ভেসে উঠছে গুরুতর অভিযোগ। আসামি করার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি, এবং আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার নামে টাকার লেনদেনের খবর বেরিয়ে আসছে একের পর এক। নিহতের মা কিসমত আরা ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও তিনি স্বীকার করেছেন, আসামিদের অনেককেই তিনি চেনেন না। তাঁর দাবি, তৃতীয় পক্ষের নির্দেশনায় এসব নাম মামলায় যোগ করা হয়েছে। কিসমত আরা বলেন, “আমি কাউকে চিনি না। যারা কাগজ নিয়ে আসে, তাদের কথা মতো সিগনেচার করেছি।” অন্যদিকে, মামলার আসামি হিসেবে নাম উঠেছে আন্দোলনকারী সুলতানা আক্তারের বাবার, যিনি সেদিন মেয়ে সুলতানাকে আন্দোলনের স্থান থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে এসেছিলেন। সুলতানা বলেন, “যে ছেলেটা আমার সামনে মারা যায়, তার মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব?” সুলতানা আরও অভিযোগ করেন, মামলার বাদীর স্বামী শাহ আলম বাবার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন। শাহ আলম প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন, “আমি বলেছিলাম, তিন লাখ টাকা নিয়ে আসেন, ব্যবস্থা করে দেব।” এমনকি নাম বাদ দেয়ার জন্য পুলিশ ও কোর্টের খরচ হিসেবেও অর্থ দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুলতানা। ভুক্তভোগীদের দাবি, নির্দোষ ব্যক্তিদের টার্গেট করে মামলায় জড়ানোর পেছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থ আদায়। এক ভুক্তভোগী জানান, তাকে মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য ২৭ লাখ টাকা দিতে হয়েছে, অথচ এরপরও আরও মামলা দেয়া হয়েছে। সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, “মামলা নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।” তবে এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, “ভুয়া মামলায় আসামিদের টার্গেট করার বিষয়টি বন্ধ করতে হবে। দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।” দেশের বিচারব্যবস্থায় এই অবস্থা চলতে থাকলে আইনের প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, সরকার কীভাবে এই চক্র ভাঙতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
没有找到评论


News Card Generator