অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই কিশোরীর বাবা একজন ব্যবসায়ীc তিনি ব্যবসার কারণে বাড়িতে থাকতে পারেন না। এই সুযোগে ১২ বছর বয়সী কন্যাকে ভগবাননগর গ্রামের রবির ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ ও কৃষ্ণ কুমার মণ্ডলের ছেলে সন্ন্যাসী মণ্ডলের কাছে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দিতেন স্ত্রী ফরিদা পারভীন।
অভিযোগ পত্রে আরো বলা হয়েছে ,গত ৭ মার্চ ভগবাননগর গ্রামের জোছনার মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে শরীফ এসে তার স্ত্রীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা কন্যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাশবিক নির্যাতন চালান। এ ছাড়া একইভাবে গত ৮ মার্চ রাত ৯টার দিকে সন্ন্যাসী কুমার পার্শ্ববর্তী কুলচারা গ্রামের তোজামের বাড়িতে নিয়ে তার কন্যাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন। বাদী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা কেউ যাতে দেখতে না পায় সে জন্য তার স্ত্রী ফরিদা পারভীন ঘরের বাইরে থেকে পাহারা দিতেন। গত ১২ মার্চ বাদীর মেয়ে ধর্ষণের এসব ঘটনা তাকে জানালে স্ত্রীর সঙ্গে বাদীর ঝগড়া ও কথা-কাটাকাটি হয়।
‘লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শরীফ ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল পূলহরি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন’- বলে জানান ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন ।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মাসুম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি একটু জটিল মনে হচ্ছে। তার পরও আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’