রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজে প্রবেশে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তালাবদ্ধ গেট, বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, সাংবাদিকদেরও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রবেশে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কলেজের মূল গেটে তালা লাগানো হয়েছে এবং প্রবেশাধিকার শুধুমাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা সাধারণ কেউই কলেজের ভেতরে ঢুকতে পারছেন না।
সকাল থেকেই গেটের সামনে দেখা গেছে উৎসুক জনতার ভিড়। বেশিরভাগ মানুষ জানার চেষ্টা করছেন, ঠিক কী ঘটেছে বা কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে তাদের কাউকে কলেজ সীমানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
গণমাধ্যমকর্মীরাও কলেজ চত্বরে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছেন না। সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে গেটের বাইরে থেকেই তথ্য সংগ্রহ ও ছবি ধারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি অনেক সংবাদমাধ্যম কর্মী অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথা বলতেও অনীহা প্রকাশ করছেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের তুলনায় কঠোর করা হয়েছে। গেট ও আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। তাদের কঠোর নজরদারিতে চলছে পুরো এলাকা।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি যে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, তাতে মাইলস্টোন কলেজের কিছু শিক্ষার্থী আহত, নিখোঁজ বা নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এসব তথ্য এখনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ আজ সকালে একটি ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় জড়িত বা ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করবে বলে জানা গেছে।
তবে এখন পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো সংবাদ সম্মেলন করেনি এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও স্থাপন করেনি। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল ও গুজবপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জনমনে প্রশ্ন উঠছে— কেবল একটি দুর্ঘটনার পর এমন কঠোর নিরাপত্তা এবং গেট তালাবদ্ধ করে রাখার মতো পরিস্থিতি কেন তৈরি হলো? এর পেছনে কি আরও কিছু লুকিয়ে আছে?
অপেক্ষা এখন শুধু প্রকৃত তথ্য ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের।