মাইলস্টোন খুলছে রোববার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
One week after the deadly plane crash, Milestone School & College in Uttara reopens partially on Sunday—not for classes, but to help students begin their emotional recovery.

প্রলয়ঙ্করী বিমান দুর্ঘটনার পর তিন দফায় ছুটি বাড়ানো হয় রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। নিহত হয় অন্তত ৩৪ জন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু শিক্ষার্থী। অবশেষে, শোক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে আগামী রোববার সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হচ্ছে কলেজ ক্যাম্পাস।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ক্লাস বা পাঠদান কার্যক্রম এদিন শুরু হচ্ছে না। এটি হবে মূলত মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে আনার এক মানবিক উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের মনোবল বাড়ানো, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে খুলছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার সন্ধ্যায় কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ক্যাম্পাস খুলে দিচ্ছি। এই দিনটিকে আমরা স্মরণসভা ও কাউন্সেলিংয়ের জন্য নির্ধারণ করেছি। প্রতিদিনের আটটি ক্লাসের পরিবর্তে এই সময় কেবল এক বা দুইটি ক্লাস নেয়া হতে পারে। এর মূল উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীরা যেন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে।”

শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শাহ বুলবুল বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছেন। আমরা ইতোমধ্যেই কাউন্সেলিং কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকেও ক্যাম্পাসে একটি বিশেষ চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনাস্থলে মারা যান শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন। পরবর্তী সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ জনে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সারা দেশব্যাপী শোক ছড়িয়ে পড়ে।

এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখা হয় এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনায় রেখে একাধিক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। তবে জীবন থেমে থাকে না। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও মনোবল রক্ষা করতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতায় ফেরার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

মানবিক বিবেচনায় এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরাও। অনেকে বলেন, "শুধু ক্লাস নয়, মানসিক পুনর্গঠনের জন্য এমন উদ্যোগ খুব প্রয়োজন ছিল।"

এখন দেখার বিষয়, কতটা দ্রুত এবং সফলভাবে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ আবার আগের মতো প্রাণবন্ত পরিবেশে ফিরে যেতে পারে।

Nenhum comentário encontrado