‘মাই ম্যান’ কমিটি বলতে সাধারণত এমন একটি কমিটিকে বোঝানো হয় যেখানে সদস্যদের নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করা হয় না, বরং নিজের পছন্দের বা বিশ্বস্ত লোকদের রাখা হয়। এই ধরনের কমিটি গঠনের পেছনে উদ্দেশ্য হতে পারে ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করা, নির্দিষ্ট মতামত বা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া, কিংবা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা।
এটি সাধারণত নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেখানে যোগ্যতার চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা আনুগত্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৫ আগস্ট এর পর দেখা যায় অনেক রাজনৈতিক দল অনেকগুলো ছাত্রসংগঠন যুব সংগঠনের কমিটি দিয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে সংগঠনগুলোর বেশিরভাগ কমিটি হয়েছে মাই ম্যান মার্কা কমিটি।
এতে করে যোগ্যরা কমিটির মাধ্যমে অবঞ্চিত হয়েছেন এবং রাজনীতিতে এতে করে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকের দলের জন্য প্রচুর ত্যাগ থাকার সত্বেও তারা কমিটিতে নেতৃত্বে আসতে পারিনি। এর কারণ হিসেবে তারা দ্বায়ী করেছেন মাই ম্যান মার্কা কমিটি।
এতেকরে ত্যাগী সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মাই ম্যান মার্কা কমিটির কারণে রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়ছেন এবং রাজনীতির নেতৃত্বের সামনে শূন্যতা সৃষ্টির আশঙ্কা।
এমত অবস্থায় দলগুলোর হাই কমান্ডের উচিত কমিটি গুলোতে অবশ্যই যোগ্যদের মূল্যায়ন করা।
শান্ মুক্তাদির আল-আমিন(এইচ)
কলামিস্ট Eyenews