close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মাগুরার নি'পী'ড়িত শিশু আছিয়াকে বাঁচানো সম্ভব হ'য়নি।

Umme Hani Akter avatar   
Umme Hani Akter
মাগুরার আট বছরের নি'পী'ড়িত শিশু আছিয়াকে বাঁচানো গেল না ।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তৃতীয় দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তাঁর ।সিপিআর দেওয়ার পরও হৃৎস্পন্দন ফিরে না আসলে আছিয়াকে মৃত ঘোষণা কর..

১৩ই মার্চ , বৃহস্পতিবার বেলা ১টায়  আছিয়াকে  মৃত বলে ঘোষণা করে  তথ্য নিশ্চিত করেন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ।

আজ সকালে শিশুটির তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। দুবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি। সিএমএইচের  অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টাও শিশুটিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়নি।

কর্নেল নাজমুল হামিদ বলেন, আজ সকালবেলা দুই দফায় শিশুটির ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তাঁর হৃৎস্পন্দন ফিরে এসেছিল। কিন্তু দুপুর ১২টায় তাঁর আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন ফেরেনি।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো হচ্ছে, মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি আজ বেলা একটায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছে। শিশুটিকে ৮ মার্চ  সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে । যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

শিশুটির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।

ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রোববার (০৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রেস উইং জানায়, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।

 

তথ্যসূত্র :প্রথম আলো

 

Ingen kommentarer fundet