মাদক পাচারে অভিনব কৌশল ব্যবহার করছে মাদক চোরাচালানকারীরা। এমনই এক অভিনব কৌশল ধরা পরেছে র্যাব-১১ এর অভিযানে।
গাড়ির চাকার ভিতর হাওয়ার পরিবর্তে গাঁজার পুটলি ভরে পাচারের সময় ১৪ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন কুতুবিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনের মহাসড়কে স্থাপিত চেকপোষ্টে, একটি সন্দেহজনক পিকআপ আটকের মাধ্যমে এ মাদকের চালান জব্দ করেন।
এসময় মাদক বহনকারী দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, পটুয়াখালী সদর থানার দাসপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুস সালাম ও একই এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে মনির হোসেন। আসামীদের ব্যবহৃত পিক-আপটি যথাযথভাবে তল্লাশির মাধ্যমে, স্থানীয় সাক্ষীদের সম্মুখেই পিক-আপের উপরে একটি স্পেয়ার চাকা পাওয়া যায়। সন্দেহজনক এই চাকার টায়ার তল্লাশি করলে তার ভিতর পাওয়া যায় ০৭ টি খাকি রংয়ের বান্ডিল। যার মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ১৪ কেজি গাঁজা।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পারস্পারিক যোগসাজসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান সংগ্রহ করে তা অভিনব কৌশলে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলায় বহন ও সরবরাহ করে থাকে।
এবিষয়ে র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম জানান, গ্রেফতারকৃত মাদক বহনকারী’দ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য এবং মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।



















