বালাপাড়া বিওপি ও গোমনাতি বিওপি’র আয়োজনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ এই দিবসে তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একযোগে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ডোমারের গোমনাতি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এজাবুল হোসেন বিল্লাল। তিনি বলেন,
> “মাদক জাতিকে ধ্বংস করে। একজন শিক্ষার্থীর পথচলা নষ্ট হলে তার পরিবার, সমাজ, এমনকি দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিক্ষা ও সচেতনতাই মাদক থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান পথ।”
ডিমলার বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ৫১ বিজিবি’র বালাপাড়া কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার মোঃ সাইফুজ্জামান। তিনি বলেন,
> “মাদক একটি জাতিকে ভিতর থেকে ধ্বংস করে। আমরা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছি, কিন্তু এই লড়াই কেবল বাহিনীর নয়—এটা সামাজিক যুদ্ধ। আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক, ইমাম, সামাজিক সংগঠন এবং গণমাধ্যমকে একত্র হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”
তিনি আরও জানান, রংপুর ব্যাটালিয়নের (৫১ বিজিবি) আওতাভুক্ত এলাকায় মাসব্যাপী বিশেষ মাদকবিরোধী টহল, চেকপোস্ট ও অভিযান পরিচালনা চলছে। রংপুর রিজিয়ন ও রংপুর সেক্টরের তত্ত্বাবধানে মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় টাস্কফোর্স অপারেশনসহ সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বক্তারা বলেন,
> “একটি দেশের সুরক্ষা মানে শুধু সীমান্ত পাহারা নয়—তা মানে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকমুক্ত রাখা। মাদক নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
এ আয়োজনের মাধ্যমে বিজিবি সদস্যরা শুধু আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ভূমিকায় নয়, সমাজের কাছে সচেতনতার বার্তাবাহক হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এই দিবসটি ছিল শুধুই একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং সমাজে একটি স্পষ্ট বার্তা—“মাদককে না বলুন, ভবিষ্যৎকে হ্যাঁ বলুন।”