শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ভেড়ামারা থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহান আহমেদ উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগরের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদের ছেলে। তিনি পৌরসভার গোডাউন মোড়ে অবস্থিত রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী।
ভুক্তভোগী শিশু ও তার মা-বাবা জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ৮টার দিকে শিশুটির বাবা তাকে নিয়ে দাঁত তুলতে ডেন্টিস্ট নিহালের চেম্বারে নিয়ে যান। দাঁত তোলা হয়ে গেলে নিহাল তার বাবাকে বাইরে যেতে বলেন। তখন শিশুটির সঙ্গে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন তিনি। পরে শিশুটিকে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে কাউকে এ ঘটনা বলার জন্য নিষেধ করেন। পরে শিশুটি তার মা-বাবাকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
ভেড়ামারা ডেন্টাল প্র্যাকটিশনার সমিতির সভাপতি ডেন্টিস্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহান কুষ্টিয়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে একটি কোর্স করেছে। বিগত এক বছর আগে তিনি রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ার প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৯ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সমিতিতে আলোচনা করব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, ডেন্টিস্ট নিহানের বিরুদ্ধে আনীত যৌনাচারের অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয়, ভেড়ামারাতে ১৬টি ডেন্টাল কেয়ার আছে। তাদের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্বে) রাকিবুল ইসলাম বলেন, যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ গিয়ে ডেন্টিস্ট নিহানকে আটক করে। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
Nenhum comentário encontrado