এসব অভিযোগের পর দুই মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা, সেবাগ্রহীতা, এনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অভিযোগ করেন— প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন মালা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দায়িত্বের বাইরে গিয়ে সেবাগ্রহণকারীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে আসছেন। সাধারণ মানুষ তার রুমে ঢোকার আগে কয়েকবার ভাবেন। কেউ সেবা নিতে গেলে তিনি সোজা উত্তর না দিয়ে কটূক্তি বা তাচ্ছিল্যপূর্ণ ভঙ্গিতে কথা বলেন।
একাধিক সূত্র জানায়, তিনি অফিস চলাকালেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দিয়ে মাথার উকুন তুলিয়ে নেন। কেউ অস্বীকৃতি জানালে তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেন।
স্থানীয় একাধিক এনজিও কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, কাঞ্চন মালা প্রত্যয়নপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে তিনি প্রত্যয়ন দিতে দেরি করেন এবং দুর্ব্যবহার করেন। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে তাকে ঘুষ দিয়ে প্রত্যয়ন সংগ্রহ করেছেন।
কুষ্টিয়ার ডিস ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন, “আমার লাইসেন্স নিয়ে জটিলতা হলে কাঞ্চন মালা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ৭০ পাতার একটি ভিত্তিহীন প্রতিবেদন তৈরি করেন। সেই মামলা এখন হাইকোর্টে চলমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটবাজারের এক ঠিকাদার জানান, প্রথমে কাঞ্চন মালা ভালো ব্যবহার করলেও তার স্বামীর বীমা কোম্পানিতে গ্রাহক না আনায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং পরে ওই ঠিকাদারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন।
চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী জানান, “উনি আমাকে বাসায় গিয়ে কাজ করতে বলেন। আমি রাজি না হওয়ায় আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করেছেন।”
এ বিষয়ে কথা বলতে কাঞ্চন মালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইউএনও মো. রোকনুজ জামান বলেন, “প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাঞ্চন মালার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় কাঞ্চন মালা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তারা দ্রুত তদন্ত শেষ করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
কুষ্টিয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুই মাসেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা..


कोई टिप्पणी नहीं मिली