close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কুড়িগ্রামে হাসপাতালে ঢুকে দূর্বৃত্তদের হামলা, আহত ২ 

Jiten Das avatar   
Jiten Das
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভেতরে ঢুকে চিকিৎসাধীন দম্পতি রুমি বেগম (৩৮) ও আব্দুল করিম (৪২) এর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে । আহত দম্পতি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় কু..

বর্তমানে আহত দম্পতি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, এদের কোনো কাজ নেই, এরা  তিনজনই  ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেন।এদিকে হাসপাতালের ভেতরে হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল  কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৪ জুন) ভোর রাতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৭ নম্বর রুমের মহিলা ওয়ার্ডে দূর্বৃত্তরা হামলা চালায়। 


প্রত্যক্ষদর্শী আকলিমা বেগম জানান, শনিবার ভোর রাতে সবাই যখন ঘুমে আছন্ন। অপরিচিত ৬-৭জন কিশোর, যুবক দল বেধে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রবেশ করেন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় রুমি বেগমের উপর বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় রুমি বেগমের স্বামী আব্দুল করিম বাঁধা দিতে গেলে দূর্বৃত্তরা চড়াও হয়ে লাটঠ সোটা কিল ঘুষি দিয়ে নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়। এমন অবস্থায় রুমের ভেতর আতঙ্কিত হওয়া অন্যান্য রোগীর ও স্বজনরা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত রয়েছে।


আগের দিন বিকেলে পাঁচগাছী  ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় পাওনা ২ হাজার ২০০ টাকার জেরে আ. করিমের বাড়িতে ঢুকে রুমি বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের ও কপালে চাকু দিয়ে  আঘাত করে তিন কিশোর সোহেল, ইব্রাহিম, জামিল। এতে রুমি বেগমের কপালে ৪ টি সেলাই পড়ে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তিনজনকে  আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে দু'পক্ষের সিদ্ধান্তে পুলিশের  উপস্থিতিতে কিশোরদের অভিভাবকের জিম্মায় দেন পুলিশ প্রশাসন। ঘন্টা তিনেক পার না হতে ভোর রাতে হাসপাতালে আবারো হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহত দম্পতির ছোট ভাই আব্দুস সালাম কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আহত রুমি বেগমের স্বামী আব্দুল করিম জানান, আমার মেয়ে জামাইয়ের কাছে ২  হাজার ২ টাকা পান ভেলাকোপা সোহেলরা। গতকাল রবিবার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এর দু'দিন আগে সন্ধ্যায় ওই ছেলেগুলো বাড়ির ভেতরে ঢুকে অকথ্য গালিগালাজ ও চাকু দিয়ে আমার স্ত্রীর কপালে চাকু মারে। স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ওরা হাসপাতালের ভেতরে আমার ও আমার স্ত্রীর উপর  হামলা করে।আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।


কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ড. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আইনগত ব্যবস্থা নিতে সকল প্রকার সহযোগিতা থাকবে বলে জানান তিনি।


কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Ingen kommentarer fundet