close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কো'র'বানির গরু লু'ট: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১২টি গরু উদ্ধার, ধরা পড়ল ডা'কা'ত চ'ক্রের সক্রিয় সদস্য!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কোরবানির জন্য আনা ১২টি গরু ডাকাতি হওয়ার পর, রাতভর অভিযানে গরুগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে ডাকাত দলের এক সদস্য, আমিন। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী মহলে।..

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে যা এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে রীতিমতো আতঙ্কিত করে তোলে। কোরবানির জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে পরিবহন করা ১২টি গরু ডাকাত দলের কবলে পড়ে। তবে পুলিশি তৎপরতায় সেই গরুগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ডাকাত দলের এক সক্রিয় সদস্য।

ঘটনাটি ঘটে রোববার (২৫ মে) ভোরে। সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ির বগুলাবাজার এলাকায় একটি পিকআপভ্যানে করে গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ করে একদল দুর্বৃত্ত মহাসড়কে বাধা সৃষ্টি করে গাড়িটি থামিয়ে দেয় এবং অস্ত্রের মুখে গরুগুলো লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় পুলিশের তদন্ত ও অনুসন্ধান।

পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি আমিন, সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাকে সোমবার গভীর রাতে ভাটিয়ারীর বিএসবিএ হাসপাতাল সংলগ্ন একটি নির্জন এলাকা থেকে গরু সহ আটক করা হয়।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন,

“গরুগুলো উদ্ধারে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি ও স্থানীয় সোর্স ব্যবহার করি। অবশেষে সোমবার রাতের শেষ দিকে গরুগুলো উদ্ধার সম্ভব হয়। আমিন নামে এক ডাকাতকে আটক করে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরও জানান,

“এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়ক ঘিরে ডাকাতির সাথে জড়িত। তবে এবার আমরা সময়মতো অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি, যা গরু ব্যবসায়ী ও খামারিদের জন্য স্বস্তির খবর।”

এদিকে, ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী মাহফুজ জানান,

“গরুগুলো আমি নিজ খামার থেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। ভোরে বগুলাবাজার এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে কয়েকজন লোক এসে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সব গরু নিয়ে যায়। আমি চরম আতঙ্কে পড়ি এবং সঙ্গে সঙ্গে থানায় অভিযোগ করি।”

এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগের পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ গরুগুলোর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

স্থানীয়দের মতে, মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে। বিশেষ করে কোরবানির মৌসুমে গরু পরিবহনের সময় পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট প্রয়োজন বলেও তারা মত দেন।

এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করলো, কোরবানির পশু পরিবহনের সময় অপরাধীরা সুযোগ বুঝে হামলা চালায়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজন আরও সক্রিয় ও কৌশলী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের এই দ্রুত অভিযান প্রশংসনীয় হলেও, মূল চক্রকে ধরা না গেলে ডাকাতির আতঙ্ক কমবে না।

স্থানীয় প্রশাসনের উচিত মহাসড়কজুড়ে মোবাইল টহল ও মনিটরিং বাড়ানো এবং পশু পরিবহনকারী যানবাহনকে বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া।

Nema komentara