মধুপুর উপজেলা প্রতিনিধি: (ইসমাইল হোসেন)
রিকশা চালক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী থেকে বেকার—সবাই এখন মোবাইল হাতে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
ফেসবুক ও ইউটিউবের মনিটাইজেশন চালুর পর অনেকেই রাতারাতি লাখো টাকা আয়ের গল্প শুনে ঝুঁকছে এই দিকেই। ভোরে রিকশা চালিয়ে সংসার চালানো মানুষটিও দুপুরে মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে লাইভ করছে; দোকানদারও ফাঁকে রিল বানাচ্ছে; আবার অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার চাইতে কনটেন্ট বানাতে বেশি সময় দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এই নেশা ভালো দিকও আছে, কারণ অনেকেই নিজের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এর অপব্যবহারও হচ্ছে ভয়াবহভাবে। ভুয়া খবর, হাস্যকর চ্যালেঞ্জ, আর হঠাৎ করে “সোশ্যাল মিডিয়া তারকা” হওয়ার নেশা অনেককে বিপদে ফেলছে।
মজার বিষয় হলো, আগে যাঁরা “কনটেন্ট” শব্দটিই চিনতেন না, তাঁরাও এখন গর্ব করে বলছেন—
“ভাই, আমারও পেজ আছে!”
“আমার ভিডিওতে ৫০ হাজার ভিউস গেছে!”
“আরেকটু হলে মনিটাইজ খুলে যাবে!”
সামাজিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে না আনলে “কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার নেশা” ধীরে ধীরে পড়াশোনা, ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি পারিবারিক বন্ধনকেও প্রভাবিত করবে।



















