close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যাচপ্রতি গোল ৩টি, সবচেয়ে বেশি আয় সিটির

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যাচপ্রতি গড় ৩ গোল, দর্শকসংখ্যা রেকর্ড। ব্রাজিল ও ইউরোপের দাপট, সর্বোচ্চ আয় ম্যান সিটির—বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৬৩ কোটি টাকা!..

এবারের ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষে ১৬টি দল শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে। ১০টি দেশের এই ১৬ দলের মধ্যে সর্বাধিক দল এসেছে ব্রাজিল থেকে—৪টি। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্রাজিল থেকে অংশ নেওয়া সবকটি দলই গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে গেছে।

ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর অবস্থানও বেশ শক্ত। জার্মানি, ইতালি এবং ইংল্যান্ডের ২টি করে দল শেষ ষোলোতে রয়েছে। যদিও স্পেনের দুই দলের মধ্যে একটিকে বিদায় নিতে হয়েছে—আতলেতিকো মাদ্রিদ হেরে বাদ পড়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপের ১২টি দলের মধ্যে ৯টিই জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোতে, যা ইউরোপের আধিপত্যেরই প্রমাণ।

৪৮টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ১৪৪টি, অর্থাৎ প্রতিটি ম্যাচে গড়ে ৩টি করে গোল। এমন গোলবন্যা ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দে মাতিয়েছে। তবে কিছু দলের মধ্যে ব্যবধান ছিল চোখে পড়ার মতো—একটি দল মাত্র দুই ম্যাচেই হজম করেছে ১৬টি গোল!

সব দলই অন্তত একটি গোল করতে পেরেছে, যা টুর্নামেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দিকটিকে আরও উজ্জ্বল করেছে।

শেষ ষোলোয় ইউরোপের ৯টি দল ছাড়াও রয়েছে ব্রাজিলের ৪টি দল। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব থেকে এসেছে দুটি করে দল—তবে প্রত্যেক দেশের একটি করে দলই টিকে আছে। আফ্রিকা ও ওশেনিয়া থেকে কোনো দলই শেষ ষোলোতে উঠতে পারেনি।

ম্যানচেস্টার সিটি এখনো পর্যন্ত একমাত্র দল যারা সম্ভাব্য ৯ পয়েন্টের মধ্যে ৯ পয়েন্টই পেয়েছে—অর্থাৎ তারা সব ম্যাচেই জিতেছে। তাদের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা।

মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি এবার যেন অন্য মাত্রা পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪১৯ জন দর্শক খেলা উপভোগ করেছেন। প্রতি ম্যাচে গড়ে দর্শকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫৯ জন। পিএসজি বনাম আতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ৬১৯ জন—এই সংখ্যাটি ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।

অন্যদিকে সবচেয়ে কম দর্শক ছিল উলসান বনাম মামেলদি ম্যাচে—মাত্র ৩ হাজার ৪১২ জন।

অর্থ উপার্জনের দিক থেকেও এবার শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। এখন পর্যন্ত তারা আয় করেছে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৬৩ কোটি টাকারও বেশি! এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, যাদের আয় সিটির চেয়ে ৩০ লাখ ইউরো কম। আল হিলালের সঙ্গে ড্র করায় কিছু অর্থ হাতছাড়া হয়েছে তাদের।

এই পরিমাণ অর্থ এমনকি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার পুরস্কার অর্থকেও ছাড়িয়ে গেছে—যা ফুটবলে ক্লাব পর্যায়ের বাণিজ্যিক গুরুত্বেরই প্রমাণ।

এখন পর্যন্ত ৫ জন খেলোয়াড় ৩টি করে গোল করে যৌথভাবে শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় রয়েছেন। তাঁরা হলেন আবু আলী, দি মারিয়া, জামাল মুসিয়ালা, কেনান ইয়ুলদিজ এবং মাইকেল ওলিসে। এদের পাশাপাশি আরও ২০ জন খেলোয়াড় ২টি করে গোল করেছেন। আত্মঘাতী গোল হয়েছে ৬টি।

এই বছরের ক্লাব বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত উত্তেজনা, পারফরম্যান্স, দর্শক উপস্থিতি ও আয়—সব কিছুতেই এক নতুন রেকর্ডের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউরোপ ও ব্রাজিলের আধিপত্য, গোলের বন্যা এবং সিটির অর্থবৃষ্টির এই মহারণ আগামী ম্যাচগুলোতে আরও রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দেবে—এটাই ফুটবলপ্রেমীদের আশা।

Hiçbir yorum bulunamadı