গত ১০ এপ্রিল থেকে দেশে এসএসসি পরিক্ষা চলমান। উক্ত পরিক্ষার বিধি মোতাবেক একজন শিক্ষক কক্ষ পরিদর্শক থাকার কথা থাকলেও কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় দেখা যাচ্ছে তার উল্টোটা। গত পরিক্ষাগুলোই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পালন করেছে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব।
পরিক্ষার নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার উলফাত জাহান।
জানা যায়, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরপর দুদিন পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আনছারুল হক। একই কেন্দ্রে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিমের এক সন্তান পরীক্ষা দিলেও তার আপন ভাই ইমাম হোছাইনকে প্রতিদিন ডিউটির তালিকায় রাখা হয়েছে।
পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মোস্তফা আলী বলেন, ‘পরীক্ষার হলে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ডিউটি করার বিধান নেই। টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদ পরিচয় গোপন করে তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারীকে শিক্ষক পরিচয়ে আমাদের তালিকা দিয়েছিল। আমরা বিষয়টি জানা মাত্র ব্যবস্থা নিয়েছি।'
এব্যপারে জানতে চাওয়া হলে টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদ বলেন, ‘মূলত আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট থাকার কারণে তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারিকে দুবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এটা নিয়মে নেই। আগামী পরীক্ষা থেকে তাকে আর পাঠাবো না৷
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি কাল এধরণের অভিযোগ পাওয়া মাত্র তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার দির্দেষ দিয়েছি এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। মৌখিকভাবে শিক্ষক স্বল্পতার কারণেই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তারপরেও উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।'
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
Ingen kommentarer fundet