close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
খুলনার নিরালা তাবলিগ মসজিদে মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মসজিদে প্রবেশ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং পুলিশের শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বেলা ১১টার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মসজিদে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সেনাবাহিনী মসজিদের সামনে রাস্তা ঘিরে রাখে, এবং পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন পরিস্থিতি তারা আগে কখনো দেখেননি। সাধারণত জুমার নামাজ এই মসজিদেই আদায় করতেন তারা। তবে, আজ নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য মসজিদে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, “ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই আমাদের প্রায় দুইশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মসজিদের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়া একটি পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কে যান চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে এবং অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাবলিগ মসজিদে সাদ অনুসারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন জুবায়েরপন্থী তাবলিগ জামাতের শুরা। শুরার সদস্য মুফতি জিহাদুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে দাওয়াতে তাবলীগের দুটি ধারা কাজ করছে—একটি আলেমি শুরা এবং অন্যটি ইন্ডিয়ার সাদ সাহেবের অনুসারী।”
তিনি আরও বলেন, “খুলনার ওলামা একরাম ও তাবলিগের ভাইয়েরা আলেমি শুরার পক্ষ নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। তবে সাদপন্থীদের হামলা প্রতিরোধে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ হারুন, মুফতি মাহমুদ, মুফতি গোলাম রহমান, মুফতি আজিজুর রহমানসহ আরও অনেকে।
নিরালা তাবলিগ মসজিদে উদ্ভূত এই পরিস্থিতি স্থানীয় বাসিন্দা এবং তাবলিগের সাধারণ অনুসারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে উত্তেজনা এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Nessun commento trovato