নিজস্ব প্রতিবেদক:** রাজধানীর খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় **১৬ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ** উঠেছে। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ওই কিশোরকে গণপিটুনি দেয়।
এদিকে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করতে গেলে **জনতার হামলার শিকার হন ৭ পুলিশ সদস্য**। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে **সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে**।
কীভাবে শুরু হলো ঘটনাটি?**
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে খিলক্ষেত থানার পুলিশ খবর পায়, এক কিশোর স্থানীয় বালুর মাঠে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে **অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার** করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি **আটকে কিশোরকে নামিয়ে গণপিটুনি** দেয়।
একপর্যায়ে জনতা পুলিশের ওপরও **হামলা চালায় ও তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে**।
পুলিশ সদস্য ও অভিযুক্ত কিশোর হাসপাতালে**
খিলক্ষেত থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ইসমাইল হোসেন জানান, "আমাদের তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭-৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"
অপরদিকে, গণপিটুনির শিকার হওয়া কিশোরটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তেজনা প্রশমনে সেনা মোতায়েন!**
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. আল আমিন হোসাইন জানান, রাত ২টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও উত্তেজনা ছিল। এ কারণে **সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন** করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে – আইন নিজের হাতে তোলা কি ঠিক?**
এমন নৃশংস ঘটনায় সমাজে ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক, তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কতটা যুক্তিসংগত? পুলিশের গাড়িতে হামলা, সদস্যদের আহত করা, অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেওয়া – এসবই আইনের প্রতি অশ্রদ্ধার ইঙ্গিত দেয়।



















