দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা যখন নেতা-কর্মীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে, ঠিক সেই সময়েই দ্বিতীয় দফায় ৩৬ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচনী তৎপরতা সচল রাখার স্পষ্ট বার্তা দিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণার এক মাস পর এই ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি কার্যত সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ফেরানোর ইঙ্গিত দিল।
বর্তমানে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন থাকলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে, বিশেষত লন্ডনে, পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই নাজুক পরিস্থিতিতে দলের অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার প্রাথমিকভাবে থমকে গেলেও, দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দলীয় নীতিনির্ধারকরা কর্মীদের মধ্যে নতুন করে মনোবল ফিরিয়ে আনতে চাইলেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল শুক্রবার দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "আমরা শুরু থেকেই নির্বাচন চেয়ে আসছি। আমরা নির্বাচন করব, নির্বাচন করতেই হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব।" তিনি জানান, সেই লক্ষ্যেই ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাকি আসনগুলোতেও সময়মতো প্রার্থী দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাজনিত আবেগ ও সহানুভূতিকে নির্বাচনী প্রচারে একটি সংগঠিত শক্তিতে রূপ দিতে চায় বিএনপি। এই কঠিন সময়ে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি প্রমাণ করল যে নেত্রীর অসুস্থতা সত্ত্বেও তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেমে নেই। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত। এর মাধ্যমে দলটি দ্রুত পূর্ণ পরিসরে নির্বাচনী প্রচারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



















