ড্যাবের জাতীয় সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনৈতিক নির্যাতিতদের চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারদের প্রশংসা করে তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবার অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে এক আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ আট বছরের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সকল চিকিৎসকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারেক রহমান বলেন, অধ্যাপক ডা. এটিএম ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি যে আন্তরিকতা, যত্ন ও দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছেন, তা একজন সন্তানের ভালোবাসাকেও ছাড়িয়ে গেছে। পরিবারের সদস্য হিসেবে যা আমি করতে পারিনি, সেই দায়িত্ব তারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের এই ভূমিকা শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়, বরং মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ এবং পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।
তারেক রহমান রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকারদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্যও ড্যাব সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, “গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ বহু সাধারণ মানুষ যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন আপনারা। এটি মানবসেবার এক অনন্য উদাহরণ।”
বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন কেবল রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য দেশের সব চিকিৎসক, বিশেষ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী চিকিৎসকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সবার অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ গত ১৫ বছরে যারা জীবন দিয়েছে, যারা আহত হয়েছে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই ভূমিকা রাখতে হবে। সামান্য হলেও যদি আমরা সবাই অবদান রাখি, তবে সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।