close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

খালেদা জিয়াকে হয়রানি, দুদকের ৩ চেয়ারম্যান ও এক সচিবের বিরুদ্ধে মামলা..

Akhi Islam avatar   
Akhi Islam
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানি করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান ও এক সচিবের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে বিস্ফোরক মামলা দায়ের। রাজন..

দুদকের সাবেকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা: খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির অভিযোগ

রাজনীতির মঞ্চে ফের একবার চাঞ্চল্য! বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান ও একজন সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটি আজ রবিবার, ১৮ মে, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে দাখিল করা হয়।

কারা এই মামলায় অভিযুক্ত?

অভিযুক্ত চারজন হচ্ছেন—

  • হাসান মশহুদ চৌধুরি (সাবেক চেয়ারম্যান, দুদক)

  • মো. হাবিবুর রহমান (সাবেক চেয়ারম্যান, দুদক)

  • আবুল হাসান মনজুর (সাবেক চেয়ারম্যান, দুদক)

  • মোখলেছ উর রহমান (সাবেক সচিব, দুদক)

এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

মামলার মূল বক্তব্য কী?

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে ও তাঁকে হয়রানি করতে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং পরিকল্পিতভাবে একটি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এতে শুধু একজন রাজনীতিবিদের সম্মানহানি হয়নি, বরং গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত হেনেছে।”

অভিযোগে আরও বলা হয়, এই কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্বকালীন সময়ে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, যা স্পষ্টভাবে সংবিধান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা পরিপন্থী।

আইনজীবীর বক্তব্য

মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. হোসেন আলী খান হাসান। তিনি জানান, “এই মামলা শুধু একজন রাজনীতিবিদের অধিকার রক্ষার লড়াই নয়, বরং একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য। রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা কিংবা কর্মকর্তা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে রাষ্ট্রীয় সংস্থার ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “এই চারজন সরকারি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়, দুদকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করেছেন, যা জাতি কখনো ভুলবে না।”

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

এই মামলা দায়েরের পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন মহল। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, অবশেষে সত্য উন্মোচিত হচ্ছে এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যারা ‘নাটক সাজিয়ে’ মামলা দিয়েছিলেন, তারা এখন বিচারের মুখোমুখি হবেন। অন্যদিকে, সরকারপন্থি অনেকেই এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ বলেও অভিহিত করছেন।

বিশ্লেষণ: কী বার্তা দিচ্ছে এই মামলা?

এই মামলা একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতা এবং নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নতুন অধ্যায় হিসেবেও আলোচিত হচ্ছে। খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলাগুলোর বৈধতা, উদ্দেশ্য এবং প্রভাব নিয়ে যে প্রশ্ন ছিল, এই মামলার মাধ্যমে তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আদালত তদন্ত করে প্রমাণ পায় যে এই মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, তাহলে তা শুধু অভিযুক্তদের জন্য নয়, ভবিষ্যতের প্রশাসনিক আচরণের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হবে।

দুদকের সাবেকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা: খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির অভিযোগ

রাজনীতির মঞ্চে ফের একবার চাঞ্চল্য! বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান ও একজন সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটি আজ রবিবার, ১৮ মে, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে দাখিল করা হয়।

কারা এই মামলায় অভিযুক্ত?

অভিযুক্ত চারজন হচ্ছেন—

  • হাসান মশহুদ চৌধুরি (সাবেক চেয়ারম্যান, দুদক)

  • মো. হাবিবুর রহমান (সাবেক চেয়ারম্যান, দুদক)

  • আবুল হাসান মনজুর (সাবেক চেয়ারম্যান, দুদক)

  • মোখলেছ উর রহমান (সাবেক সচিব, দুদক)

এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

মামলার মূল বক্তব্য কী?

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে ও তাঁকে হয়রানি করতে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং পরিকল্পিতভাবে একটি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এতে শুধু একজন রাজনীতিবিদের সম্মানহানি হয়নি, বরং গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত হেনেছে।”

অভিযোগে আরও বলা হয়, এই কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্বকালীন সময়ে ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, যা স্পষ্টভাবে সংবিধান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা পরিপন্থী।

আইনজীবীর বক্তব্য

মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. হোসেন আলী খান হাসান। তিনি জানান, “এই মামলা শুধু একজন রাজনীতিবিদের অধিকার রক্ষার লড়াই নয়, বরং একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য। রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা কিংবা কর্মকর্তা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে রাষ্ট্রীয় সংস্থার ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “এই চারজন সরকারি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়, দুদকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করেছেন, যা জাতি কখনো ভুলবে না।”

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

এই মামলা দায়েরের পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন মহল। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, অবশেষে সত্য উন্মোচিত হচ্ছে এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যারা ‘নাটক সাজিয়ে’ মামলা দিয়েছিলেন, তারা এখন বিচারের মুখোমুখি হবেন। অন্যদিকে, সরকারপন্থি অনেকেই এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ বলেও অভিহিত করছেন।

বিশ্লেষণ: কী বার্তা দিচ্ছে এই মামলা?

এই মামলা একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতা এবং নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নতুন অধ্যায় হিসেবেও আলোচিত হচ্ছে। খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলাগুলোর বৈধতা, উদ্দেশ্য এবং প্রভাব নিয়ে যে প্রশ্ন ছিল, এই মামলার মাধ্যমে তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আদালত তদন্ত করে প্রমাণ পায় যে এই মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, তাহলে তা শুধু অভিযুক্তদের জন্য নয়, ভবিষ্যতের প্রশাসনিক আচরণের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হবে।

 

রাজনীতির ময়দানে যখন প্রতিহিংসা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়, তখন সেটি শুধু রাজনীতিকেই নয়, জনগণের আস্থা ও আইনের শাসনকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে ‘মিথ্যা মামলা’ হয়েছিল, তা নিয়ে দায়ের হওয়া নতুন এই মামলাটি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার একটি বড় পরীক্ষা।

রাজনীতির ময়দানে যখন প্রতিহিংসা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়, তখন সেটি শুধু রাজনীতিকেই নয়, জনগণের আস্থা ও আইনের শাসনকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে ‘মিথ্যা মামলা’ হয়েছিল, তা নিয়ে দায়ের হওয়া নতুন এই মামলাটি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার একটি বড় পরীক্ষা।

Không có bình luận nào được tìm thấy