স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতে দ্রুততার সঙ্গে গাছ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছিল। সন্দেহ হলে কয়েকজন পথচারী গাছবোঝাই যানটি থামিয়ে দেন। পরে তারা পরিবহনকারী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পান এবং গাছগুলো স্থানীয়ভাবে নিরাপদে সংরক্ষণ করেন। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন,
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি)–কে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি গাছগুলো জব্দ করেছেন। আগামীকাল বুধবার সরেজমিন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, এত বিপুল সংখ্যক সরকারি গাছ কীভাবে কাটা হলো? কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত? কোনো অনুমোদিত টেন্ডার বা দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত ছিল কি না?
স্থানীয়রা আরো জানান, আমরা শুনেছি সরকারিভাবে রাস্তার গাছ কাটতে হলে বিধিবদ্ধ টেন্ডার প্রক্রিয়া, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের অনুমোদন লাগে। কিন্তু এই রাস্তায় গাছ কাটার আগে এসব নিয়ম মানা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের দাবি, সরকারি সম্পদ রক্ষায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।



















