close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কারাগার থেকেই 'মোদি সতর্কবার্তা': যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে জাগ্রত থাকার আহ্বান ইমরান খানের!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের সঙ্গে সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে কারাগার থেকেই শক্ত বার্তা দিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বললেন, “মোদি প্রতিশোধ নেবেই”—পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানালেন তিনি। পিটিআই নেতাদের মাধ্যমে ছড়িয়..

কারাগারে থেকেও থেমে নেই তার কণ্ঠ। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এক বিস্ফোরক বার্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন—ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 'প্রতিশোধ নিতে পারেন', তাই পাকিস্তানকে সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকতে হবে।

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছেন। কারাগারের ভেতর থেকেও তার রাজনৈতিক বার্তাগুলো পিটিআই-এর নেতাদের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসমক্ষে আসছে।
গতকাল বুধবার (১৪ মে) পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, ইমরানের সঙ্গে তার বোন আলেমা খান সাক্ষাৎ করেছেন এবং সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই যুদ্ধ সতর্কবার্তা।

আলেমা খান বলেন, “ইমরান ভাই বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক এবং দৃঢ় জবাব দেওয়া দরকার। তিনি বিশ্বাস করেন, মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত প্রতিশোধ নিতে পিছপা হবে না। সুতরাং পুরো জাতিকে প্রস্তুত থাকতে হবে।"

ইমরানের এই বার্তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানজুড়ে নতুন করে রাজনৈতিক আলোচনার ঝড় উঠেছে। পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক শেখ ওয়াকাস আকরাম বলেন, “ইমরান খানের মতে, ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর অবস্থান জাতির মনোবল বাড়িয়েছে। এমনকি কারাগারে থাকা নেতাকর্মীরাও এতে উৎসাহ পেয়েছেন।”

তবে ইমরান খান কেবল বাহিনীর প্রশংসা করেই থেমে যাননি। শেখ ওয়াকাস আকরাম আরও বলেন, “তিনি বারবার সতর্ক করেছেন—মোদি একজন অবিশ্বস্ত এবং প্রতারণাপূর্ণ নেতা। তাঁর রাজনৈতিক কৌশল পূর্বাপর মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে। তাই আগামীতেও ভারতের পক্ষ থেকে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।”

এদিকে, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান পরিস্থিতির রাজনৈতিক দিকটিও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, "যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তাহলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও আলোচনার বাধা থাকা উচিত নয়।"

গহরের মতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপের পথ সুগম করতে হবে। তিনি আরও বলেন, "পিটিআই সবসময় গঠনমূলক সংলাপে অংশ নিতে প্রস্তুত, যদি সরকার একটি সর্বদলীয় আলোচনার আয়োজন করে।"

ইমরান খানের এই বার্তাগুলো এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচনী রাজনীতিতে মোদি সরকারের 'জাতীয়তাবাদী' অবস্থান এবং পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানের এই বার্তায় কেবল প্রতিপক্ষ মোদিকে লক্ষ্য করে তির ছোড়া হয়নি, বরং নিজ দেশের জনগণ ও সামরিক বাহিনীকেও প্রস্তুতির জন্য মানসিকভাবে তৈরি করার এক প্রচেষ্টা এটি।


 

কারাগারে থেকেও ইমরান খান রাজনীতির মঞ্চে সক্রিয়। তার বার্তায় যেমন আছে সামরিক বাহিনীর প্রশংসা, তেমনি আছে ভারতের 'প্রতিশোধের সম্ভাবনা'র বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি। পাকিস্তান কি সত্যিই নতুন সংঘাতের মুখোমুখি হচ্ছে? সময়ই দেবে উত্তর। তবে ইমরানের এই বার্তা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন তুলে দিয়েছে।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator