close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কারাবরণের ৭ বছর: আপসহীন নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার অবিচল অভিযাত্রা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আজ থেকে ঠিক সাত বছর আগে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কি
আজ থেকে ঠিক সাত বছর আগে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু কারাবাসের এই দীর্ঘ সময়েও তিনি কখনো আপস করেননি, মাথানত করেননি, কিংবা দেশ ছাড়ার প্রস্তাবে রাজি হননি। বরং তিনি হয়েছেন বাংলাদেশে আপসহীন রাজনীতির প্রতীক। দলের হাল ধরা থেকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের অগ্রসেনানী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির ভবিষ্যৎ যখন অনিশ্চয়তার মুখে, তখন দলের হাল ধরেন খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালে তিনি বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী এক দশক ধরে কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলকে সংগঠিত করেন। সেই সময়ের স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেকে একজন বলিষ্ঠ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে এরশাদের পতন হয় এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অত্যাচার ও কারাবাস: মাথা নত করেননি খালেদা বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া কখনো রাজনীতি থেকে পিছু হটেননি। শত অত্যাচার, নির্যাতন ও কারাবাসের মধ্যেও তিনি গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রশ্নে আপস করেননি। ২০০৭ সালের ১/১১-এর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও তাকে দেশত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা উচ্চ আদালতে বেড়ে হয় ১০ বছর। বিএনপি নেতাদের ভাষ্যমতে, এই রায় ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস নয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “খালেদা জিয়া বরাবরই আপসহীন নেত্রী ছিলেন। এরশাদ আমল থেকেই তার এই লড়াই শুরু হয়েছিল এবং এখন তা আরও সুস্পষ্ট।” অপর আরেক নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা মানে গণতন্ত্রকে অন্তরীণ করা। এটি ছিল তাকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার একটি পরিকল্পনা।” সাজা বাতিলের পর মুক্তি, কিন্তু স্বাস্থ্য সংকট ২০২০ সালে কোভিড মহামারির সময় সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক জীবন কার্যত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে হাসপাতাল ও বাসার মধ্যে। ২০২৩ সালের আগস্টে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ঘোষণা দেন যে, খালেদা জিয়ার মুক্তি দেওয়া হবে। ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত হন। খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ ও বিএনপির চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তবে তার স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে সক্রিয়তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি শুধুমাত্র একজন নেতা নন, বরং এক অনড় সংগ্রামী প্রতীক। কারাবাস, রাজনৈতিক চক্রান্ত, নির্যাতন—কোনো কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তার রাজনৈতিক জীবন সাক্ষী, আপোসহীন মনোভাব ও গণতন্ত্রের প্রতি একনিষ্ঠ বিশ্বাসই তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। 🔥 এই আপসহীন নেত্রীর পরবর্তী রাজনৈতিক ভূমিকা কী হতে পারে? জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন!
Комментариев нет