close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কালুরঘাটে দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন, ৪ রেলকর্মী সাময়িক বরখাস্ত..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি, সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ৪ রেলকর্মীকে। ট্রেন সিগনাল অমান্য ও যানবাহন..

 

 

কালুরঘাটে ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলওয়ের বড় পদক্ষেপ: তদন্ত কমিটি গঠন, ৪ জন সাময়িক বরখাস্ত
চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত হয়েছে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এবং একইসঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট চারজন রেলকর্মীকে।

গত ৫ জুন বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু অতিক্রম করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। ট্রেনটি সেতুর ওপর উঠার মুহূর্তে, সিগনাল অমান্য করে কিছু যানবাহন ব্রিজে উঠে পড়লে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ট্রেনের আঘাতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হতাহতের ঘটনাও ঘটে। দুর্ঘটনার পর আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী নিশ্চিত করেছেন যে, এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও)। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন—

ডিএমই (লোকো), চট্টগ্রাম

ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-১

বিভাগীয় চিকিৎসক, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই দুর্ঘটনার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চারজন রেল কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন—

সোহেল রানা – গার্ড, পর্যটক এক্সপ্রেস (হেড কোয়ার্টার, চট্টগ্রাম)

গোলাম রসুল – লোকো মাস্টার (টি নং-৫৩০)

আমিন উল্লাহ – সহকারী লোকো মাস্টার (টি নং-৭২৩)

মাহবুব – অস্থায়ী গেট কিপার (টিএলআর)

বরখাস্তের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে সিগনাল অমান্য, দায়িত্বে অবহেলা ও যানবাহনের চলাচলে সমন্বয়হীনতা উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করেছে।

কালুরঘাট সেতুর এই দুর্ঘটনা রেলপথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন স্পর্শকাতর এলাকায় আরও কঠোর সিগনাল কন্ট্রোল ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। বিশেষ করে ট্রেন চলাচলের সময় ব্রিজে অন্যান্য যানবাহনের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে নেয়া হবে অতিরিক্ত পদক্ষেপ।

কালুরঘাটে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনা দেশের রেল ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো সামনে এনেছে। তদন্ত চলছে, কিন্তু এখনই জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে — অবহেলাকে পেছনে ফেলে, একটি শক্তিশালী, সুরক্ষিত রেলপথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

 

Tidak ada komentar yang ditemukan