close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কালিগঞ্জে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার উত্তম স্বর্ণকার..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে উত্তম স্বর্ণকার গ্রেফতার। তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে ভিকটিমের গোপন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করেন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা: 

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় উত্তম কুমার স্বর্ণকার (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন '২৫) রাত আনুমানিক ২টার দিকে কালিগঞ্জ থানা ও শ্যামনগর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত উত্তম কুমার স্বর্ণকার সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং আনন্দ স্বর্ণকারের পুত্র। 

উত্তমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে ভিকটিমের গোপন মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করে তা নিজ হেফাজতে রেখে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী প্রিয়া সরকার সাংবাদিকদের জানান, উত্তম স্বর্ণকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে কালিগঞ্জ থানার ওসি, এসআই, কনস্টেবলসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। এছাড়া নারীদের নিয়েও প্রকাশ্যে অশ্লীল মন্তব্য করে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করেন তিনি। 

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তার বিরুদ্ধে এর আগেও নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক, ধর্ষণ এবং মাদক মামলাসহ একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এসব অপরাধে জড়িত থাকলেও রহস্যজনকভাবে আইনের আওতার বাইরে থাকতেন তিনি। প্রিয়া সরকার আরো বলেন, উত্তম স্বর্ণকার বিভিন্ন সময়ে মানসিক চাপে রাখেন এবং ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে বারবার ব্ল্যাকমেইল করেন। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করে তার ব্যক্তিগত সম্মান ও সামাজিক অবস্থান চরমভাবে ক্ষুন্ন করেন। 

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ভিডিও ফাঁসের পর থেকে প্রিয়া সরকার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে অপমানিত হন। এ ঘটনার পরই তিনি থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনি সহায়তা চান। এ ঘটনায় উত্তম স্বর্ণকারের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৮(২) ও ৮(৩) ধারায় রুজু হয়েছে। মামলা নং-১২ হিসেবে তা খতিয়ানে নথিভুক্ত হয়েছে। 

কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ মৃধা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলাতে প্রেরণ করা হয়েছে। উত্তম স্বর্ণকারের গ্রেফতারি পর পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকারিতা এবং সমাজে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অপরাধের পরিমাণ কমাতে এখনই প্রয়োজন কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। 

উত্তম স্বর্ণকারের গ্রেফতারি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি উদাহরণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিক শিক্ষা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করে তোলা জরুরি। এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজের সকল স্তরে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

کوئی تبصرہ نہیں ملا


News Card Generator