শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের একাংশ শনিবার (২১ জুন ২০২৫) বেলা সাড়ে ১২টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এবং প্রেসক্লাবের সামনে একটি সমাবেশ করে। এ সময় তারা বর্তমান কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ শাফায়াল মোড়ল। তিনি অভিযোগ করেন যে, সাম্প্রতিক খুলনা বিভাগের টিম লিডারদের মাধ্যমে কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে যেখানে প্রকৃত ছাত্রদল কর্মীদের বাদ দিয়ে বহিরাগত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোড়ল বলেন, "এটি শুধু সংগঠনের আদর্শ ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন নয় বরং মাঠ পর্যায়ের ছাত্রদলের ত্যাগী ও পরিচিত নেতাকর্মীদের চরম অপমান। এই ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কমিটি আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।"
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের সদস্য তৈয়েবুর রহমান, হুমায়ুন কবির এবং শাকিব। তারা সকলেই বর্তমান কমিটি বাতিলের দাবি জানান এবং প্রকৃত কর্মীদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন খুলনা বিভাগের টিম লিডার কর্তৃক তাসকিন মেহেদি তাজকে সভাপতি ও ওমর ফারুককে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছাত্রদলের একাংশ মনে করে যে, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ এবং তারা এই কমিটি বাতিলের জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু। তারা পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব খুলনা বিভাগীয় রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর ফলে স্থানীয় ছাত্রনেতারা আরও সংগঠিত হতে পারে এবং তাদের দাবি আদায়ের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে পারে।
ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনার ফলে কালিগঞ্জ এলাকায় ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ আরো প্রকট হতে পারে এবং এটি বৃহত্তর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে।