close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কাল বিক্ষোভ করবে ছাত্রশিবির

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
In protest of the daylight murder of a businessman near Mitford Hospital, Islami Chhatra Shibir has announced a protest march from Jagannath University at 11 AM on Saturday.

মিডফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় উত্তাল ছাত্রশিবির। শনিবার বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে চরম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই ঘটনাকে শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং সারাদেশে চলমান চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হিসেবে দেখছে। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম শুক্রবার (১১ জুলাই) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে জানান, “সারাদেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রশিবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।”

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে, যা সরাসরি মিডফোর্ড হাসপাতাল অভিমুখে অগ্রসর হবে। শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা শুধু হত্যার বিচারই নয়, বরং চলমান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চায়।

স্থানীয়দের মতে, নিহত চাঁদ মিয়া একজন সাধারণ ব্যবসায়ী ছিলেন যিনি দীর্ঘদিন ধরেই পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী মহলে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগও বেড়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ছাত্রশিবিরের এই বিক্ষোভ শুধু ঘটনাবিশেষে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ভবিষ্যতের বৃহত্তর আন্দোলনের প্রাথমিক ইঙ্গিতও হতে পারে। অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীবাসী এখন নজর রেখেছে শনিবারের কর্মসূচির দিকে। দেখা যাক, এই বিক্ষোভ কতটা শান্তিপূর্ণ হয় এবং প্রশাসনের ভূমিকা কেমন থাকে।

Nema komentara