close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কা/তা/রে মা/র্কিন ঘাঁ/টি/তে ই/রা/নের ছয় ক্ষে/পণা/স্ত্র হা/মলা! মধ্য/প্রাচ্যে অ/শান্তির নতুন সূচনা?....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সোমবার রাতে কাতারের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান— এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাঁপছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে দোহা, আকাশসীমা বন্ধ করেছে কাতার। ঘটনার পরপর..

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূ-রাজনৈতিক মঞ্চে আবারও নতুন করে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। এবার সরাসরি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হলো কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। সোমবার গভীর রাতে অন্তত ছয়টি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

বিশ্বখ্যাত বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি নিশ্চিত করেছে, কাতারের রাজধানী দোহা থেকে একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে একের পর এক শব্দে গোটা শহর যেন কেঁপে উঠেছিল।

এক্সিওস নিউজ এজেন্সির বরাতে বিবিসি অ্যারাবিক ও বিবিসি পার্সিয়ান জানায়, ইরান সরাসরি কাতারের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

এমনকি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, হামলার কিছুক্ষণ আগেই ইরান তার বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার বিভিন্ন গোপন স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে— এমন তথ্য দিয়েছিলেন এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, হামলার পরিকল্পনা পূর্বনির্ধারিত ছিল।

কাতার সরকার হামলার পরপরই দ্রুত তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। এটি ছিল প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ, যাতে কোনো বিমান চলাচলে ঝুঁকি না থাকে।

কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত— যা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কৌশলগত কার্যক্রমের কেন্দ্রস্থল। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই হামলা মূলত আমেরিকাকে সরাসরি বার্তা দেওয়ার জন্য, যেন তারা ইসরায়েল-মধ্যপ্রাচ্য সংকটে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে।

বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, এই ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। বর্তমানে ইরান ও ইসরায়েলর মধ্যকার সম্পর্ক তিক্ততম অবস্থায় রয়েছে, যার মাঝে আমেরিকা প্রকাশ্যেই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।

এই ঘটনায় এখনো যুক্তরাষ্ট্র বা কাতারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই হামলা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়েছে, “এই ধরনের হামলা পুরো অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়াবে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে ইরান একদিকে তার সামরিক ক্ষমতা দেখালো, অন্যদিকে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে সরাসরি আঘাত হেনে একটি 'রেড লাইন' অতিক্রম করল। এ ঘটনার জের ধরে বড় পরিসরে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ছয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে এক ভয়ংকর বার্তা। এটি শুধু কাতার বা ইরান নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন মোড় তৈরি করতে যাচ্ছে। যুদ্ধ কি আসন্ন? আন্তর্জাতিক মহল উত্তরের অপেক্ষায়।

לא נמצאו הערות


News Card Generator