জুলাই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ (১ জুলাই) থেকে শুরু হলো “জুলাই স্মৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানমালা”। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির মূল আকর্ষণ হলো প্রতিদিন প্রকাশিত দশটি ঐতিহাসিক পোস্টার, যা দিবে ঐ গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাবলি ও তার গুরুত্বের বর্ণনা।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে দেশের প্রসিদ্ধ যোদ্ধা শিল্পী দেবাশীষ চক্রবর্তী এই বিশেষ প্রোগ্রামের জন্য দশটি পোস্টার এঁকেছেন। প্রতিটি পোস্টারে ফুটে উঠবে কেন জুলাই মাস অনিবার্য হয়ে উঠেছিল এবং সেই সময় কী ঘটেছিল। আজ ১ জুলাই প্রথম পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজেও পোস্টারের মাধ্যমে জানানো হয়, “জুলাই ২০২৪-এর ঐতিহাসিক ঘটনাবলি তুলে ধরতে এই মাসব্যাপী প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ যেন এই মাসের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য।”
জুলাই মাসজুড়ে প্রতিদিন একটি করে পোস্টার প্রকাশ করা হবে। এর মাধ্যমে একটি ধারাবাহিক তথ্যচিত্র রূপে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরা হবে, যাতে নতুন প্রজন্মও জানতে পারে মুক্তিযুদ্ধের এই সময়ের গৌরবময় অধ্যায়।
অংশ হিসেবে আজ থেকে দেশের মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি, আজ থেকে জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচিও শুরু হচ্ছে, যা চলবে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে নানা সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক কার্যক্রম। ৫ জুলাই, ৭ জুলাই ও ১৪ জুলাই বিশেষ কর্মসূচি থাকবে, যেখানে শহীদদের স্মৃতিতে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।
৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে "৩৬ জুলাই" স্মৃতি অনুষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে জেলা-জেলা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, বিজয় মিছিল, গানের অনুষ্ঠান ও ড্রোন শো। এছাড়াও ‘৩৬ ডেইজ অভ জুলাই’ শিরোনামে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও ভিডিও শেয়ারিং করা হবে।
এই স্মৃতি উদযাপন কর্মসূচি দেশের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসের পুনর্জাগরণ ঘটাতে সহায়ক হবে এবং শহীদদের ত্যাগ ও বীরত্বের প্রতি নতুন প্রজন্মের সম্মান জাগ্রত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।