close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

জুলাই সনদে একমত, ভিন্নমত স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে: সালাহউদ্দিন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP leader Salahuddin Ahmed said all parties agree on the July National Charter, but differing opinions will be clearly documented. He emphasized that this consensus document will shape the path to th..

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদে সব দল একমত হলেও যেসব বিষয়ে মতভেদ আছে, সেগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্যের এই দলিলই হবে আগামী নির্বাচনের দিকনির্দেশনা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ জাতির ঐক্যের প্রতীক, যা সারা দেশের মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই সংস্কার এখন জাতীয় দাবি। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, বা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুক, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন তাদের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "আমরা সবাই জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেগুলোও স্পষ্টভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে—কোন বিষয়ে, কীভাবে মতভেদ রয়েছে, তা লিপিবদ্ধ করা হবে। কারণ ঐকমত্য কমিশনে আলোচনার মূল উদ্দেশ্যই ছিল সবাইকে কথা বলার এবং ভিন্নমত জানানোর সুযোগ দেওয়া।"

সালাহউদ্দিন জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে, যা জাতীয় ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এই সনদ একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষিত থাকে।

তিনি বলেন, “আমরা সবাই এতে সম্মত হয়েছি। যদিও কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব হয়নি, তবুও বেশিরভাগ দল অংশগ্রহণ করেছে। আমি আমার বক্তব্যে উল্লেখ করেছি, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমের লক্ষ্যও একই—একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, জুলাই সনদের সঙ্গে নির্বাচনের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও এর মাধ্যমে জাতির দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হবে। “এই সংস্কার এখন জাতীয় প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে,” তিনি বলেন, “এটি শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি জাতীয় অগ্রগতির ভিত্তি।”

গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা চাই জনগণ যেন এই গণভোটের মাধ্যমে সংসদকে সার্বভৌম এখতিয়ার ও কর্তৃত্ব প্রদান করে। জনগণ যে সংস্কারের পক্ষে রায় দেবে, সংসদ তা বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করবে।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, গণভোটে একটিমাত্র প্রশ্ন থাকবে—‘জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, জনগণ কি তার পক্ষে?’ সালাহউদ্দিনের আশা, “না ভোটের সংখ্যা হাতেগোনা থাকবে, কারণ পুরো জাতি এই সংস্কারের পক্ষে।”

তিনি আরও বলেন, এই গণভোটের মাধ্যমে জনগণ সংসদকে এমন গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করবে, যা আদালতও বাতিল করতে পারবে না। “গণভোটের মূল ভিত্তিই হবে জনগণের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত,” তিনি যোগ করেন।

বিএনপি এই প্রক্রিয়াকে ঐক্যের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছে। সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা অপেক্ষায় আছি ১৭ অক্টোবরের ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য, যখন জুলাই সনদ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষরিত হবে। এরপর এটি জাতির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, যাতে সবাই জানতে পারে কীভাবে আমাদের জাতীয় ঐকমত্য গঠিত হয়েছে।”

তিনি জানান, ঐকমত্য কমিশন পরবর্তী সময়ে সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের কাছে বিভিন্ন সুপারিশ দেবে। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো—গণভোটের দিনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা, যাতে সনদের সব প্রস্তাব ও নোট অব ডিসেন্ট একসঙ্গে কার্যকর করা যায়।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা চাই এই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতি একটি নতুন যুগে প্রবেশ করুক—যেখানে মতভেদ থাকবে, কিন্তু জাতীয় ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে।”

Aucun commentaire trouvé


News Card Generator