close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

জুলাই মাসের জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জুলাই মাসেও ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দামে পরিবর্তন আসেনি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী পুরনো দামই বহাল থাকবে ১ জুলাই থেকে।..

জুলাই মাসের জন্য দেশের জ্বালানি তেলের মূল্য অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার (২৯ জুন) এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানায়। এতে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিন—সব ধরনের তেলের দাম পূর্বের মতোই বহাল থাকবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জুলাই মাসে ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১০২ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রল ১১৮ টাকা এবং অকটেন ১২২ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এসব দাম গত মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, অর্থাৎ নতুন করে কোনো মূল্যবৃদ্ধি বা হ্রাস হয়নি।

সরকার গত বছরের মার্চ মাসে জ্বালানি তেলের জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করে, যাতে করে প্রতি মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা যায়। এই পদ্ধতির আওতায় প্রতি মাসেই নতুন করে মূল্য ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দামও আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে মাসভিত্তিক হালনাগাদ করে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৭৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল। কৃষিখাত, সেচ ব্যবস্থাপনা, পরিবহন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জেনারেটরগুলোতে মূলত ডিজেল ব্যবহার করা হয়। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ অন্যান্য তেলের মাধ্যমে।

গত ৩১ মে সরকার সর্বশেষ জ্বালানির দাম সমন্বয় করে। তখন ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা করা হয়। অকটেনের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২১ টাকা থেকে কমিয়ে ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১০৪ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই দাম ১ জুন থেকে কার্যকর হয়।

এর আগে, মে মাসেও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ১০৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৪ টাকা করা হয়। একই সঙ্গে অকটেন ও পেট্রলের দামও ১ টাকা করে কমিয়ে যথাক্রমে ১২৫ ও ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তবে মার্চ ও এপ্রিল মাসে জ্বালানির দামে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তারও আগে, ফেব্রুয়ারিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৪ থেকে বাড়িয়ে ১০৫ টাকা, অকটেন ১২৫ থেকে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোল ১২১ থেকে ১২২ টাকা করা হয়।

বিশ্ববাজারে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও দেশে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে চলতি মাসে কোনো পরিবর্তন না আসায় সাধারণ জনগণ ও পরিবহন খাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী মাসগুলোতে যদি বিশ্ববাজারে দাম বাড়ে, তাহলে দেশের বাজারেও সেই প্রভাব পড়বে।

সরকারের এ সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশে একটি স্থিতিশীল বার্তা দেয়। তবুও জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজারে নজর রাখতে হবে, কারণ দাম বাড়লেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली