নপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল থেকে বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
তৌহিদ আফ্রিদি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের কনটেন্ট তৈরি করে তরুণ সমাজের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তার ইউটিউব এবং ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে বিপুল সংখ্যক অনুসারী রয়েছে। তবে এবার তার নাম এসেছে বহুল আলোচিত জুলাই হত্যা মামলার আসামি হিসেবে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।
সিআইডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারের পর তৌহিদ আফ্রিদিকে প্রথমে স্থানীয় থানায় রাখা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে রিমান্ডের আবেদন করবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে তৌহিদ আফ্রিদির সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের হাতে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই মামলার অগ্রগতি বা আফ্রিদির সম্পৃক্ততার গভীরতা নিয়ে এখনই বিস্তারিত জানাতে চাননি তদন্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অনুসারী বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না, আবার অনেকেই বলছেন—আইনের কাছে সবাই সমান এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে বিচার পেতেই হবে। তার ভক্তরা এখন জানতে চাইছেন, তিনি আসলেই কতটা এই মামলার সঙ্গে জড়িত এবং আদালতে কী প্রমাণ উপস্থাপন করা হবে।
স্মরণ করা যেতে পারে, এর আগে সম্প্রতি মিডিয়া জগতের আরেকজন আলোচিত ব্যক্তিত্ব মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকেও গ্রেফতার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে একের পর এক পরিচিত মুখ আইনের জালে ধরা পড়ায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মিডিয়া মহল পর্যন্ত সবাই এখন তোলপাড় করছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের মামলায় জনমত বা গুঞ্জনের বাইরে গিয়ে আদালতের প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্তই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিচারিক প্রক্রিয়ায় যদি তৌহিদ আফ্রিদির অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে তিনি কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন। আর যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তবে মুক্তি পাবেন।
সবশেষে সিআইডি জানিয়েছে, তৌহিদ আফ্রিদিকে আগামীকাল আদালতে হাজির করা হলে তখন তদন্তের পরবর্তী ধাপ এবং আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানানো হবে। এই ঘটনায় মিডিয়া ও অনলাইনে বাড়ছে কৌতূহল। সবাই অপেক্ষা করছে আদালতের রায়ের দিকে।