close
  
  
         
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে অভিমত আহ্বান, চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে!
			
				
					জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের কাছ থেকে অভিমত আহ্বান করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সংলাপ শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ২৩ জানুয়ারির মধ্যে চিঠির মাধ্যমে অভিমত পাঠানো যাবে।
ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে এর আগে বিভিন্ন পক্ষের মতামত নেওয়া হয়েছিল। এ খসড়ায় ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা বাতিলের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, ঘোষণাপত্রের কার্যকারিতা হবে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে। তবে এটি শুধুই প্রাথমিক প্রস্তাবনা। এখন অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র তৈরি হবে।
ঘোষণাপত্র নিয়ে বিতর্ক
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গত ডিসেম্বর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে এ ঘোষণাপত্র প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তখন বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়।
৩১ ডিসেম্বর রাতে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র তৈরির কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। পরবর্তী সময়ে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার সময়সীমা নির্ধারিত হলেও তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ১৬ জানুয়ারি আবারও বৈঠক আয়োজন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
পরবর্তী কর্মপন্থা কী?
২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত মতামত পর্যালোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। জনগণের উপস্থিতিতে তা প্রকাশ করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘোষণাপত্রটি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য মেটানো এখন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।
শেষ কথা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে জাতি এখন উত্তেজনার শীর্ষে। সকল পক্ষের অংশগ্রহণে একটি সমাধানে পৌঁছানোর অপেক্ষায় দেশবাসী। এই ঘোষণা কি ঐক্যের বার্তা দেবে, নাকি বিভাজন আরও বাড়াবে, তা সময়ই বলবে।
					
					
					
					
					
					
    
					
					
			
					
					
					
					
					
					
					
				
				
				
				Walang nakitang komento
							
		
				


















