জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে আজ রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এতে উপস্থিত থাকবেন দলের শীর্ষ নেতারা।
জাতীয় রাজনীতিতে উত্তেজনার মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র এবং প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক ভাষণ ঘিরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ উপলক্ষে দলটি আজ বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বাংলামোটরে তাদের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বার্তায় এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং জনগণের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার প্রেক্ষিতে এনসিপি’র এই সংবাদ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
খান মুহাম্মদ মুরসালীন বলেন, “জুলাই মাসের ঘোষণাপত্র এবং জাতির বর্তমান চাহিদা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ এবং গণমুখী দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করে। এনসিপি সে প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকবে।”
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন এনসিপির সম্মানিত আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তাঁরা সরাসরি সংবাদকর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখবেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলে জানা গেছে।
এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, মূলত জুলাই ঘোষণাপত্রে উঠে আসা নানা দাবি-দাওয়া এবং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক রূপরেখা ও গণতান্ত্রিক কাঠামো নিয়ে দলের অবস্থান আজ পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হবে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সাম্প্রতিক ভাষণে যে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও দলটির মতামত দেওয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংবাদ সম্মেলন শুধু এনসিপির রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং বিরোধী রাজনীতির সামগ্রিক গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। কারণ, এনসিপি সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক জনসংযোগ শুরু করেছে এবং তরুণ ভোটারদের মধ্যে একটা সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সম্মেলন থেকে হয়তো পরবর্তী নির্বাচনী কৌশল বা বৃহত্তর বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐক্যের আভাসও মিলতে পারে। বিশেষ করে যখন দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এখনো নিজেদের অবস্থান নিয়ে দ্বিধায় ভুগছে, তখন এনসিপির এমন সরাসরি যোগাযোগ ও সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনের পর একটি লিখিত বক্তব্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হবে, যেখানে এনসিপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক কর্মসূচির বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর আগেও রাজনৈতিক সংকটে সাহসী অবস্থান নিয়েছে এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থেকেছে বলে দাবি করে আসছে। এবারের সংবাদ সম্মেলনও সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।