close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

যুক্তরাষ্ট্রকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি বিশেষ চিঠি দিচ্ছে বাংলাদেশ: নেতৃত্বে ড. ইউনূস, লক্ষ্য মার্কিন বাজারে সুবিধা রক্ষা!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির জবাবে বাংলাদেশ নিচ্ছে কৌশলী পদক্ষেপ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন প্রশাসনকে পাঠানো হবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি, যার একটি পাঠাবেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্যব..

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ, নেওয়া হচ্ছে দ্রুত কৌশলী পদক্ষেপ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তাদের নতুন শুল্ক নীতি কার্যকর করায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত দেশগুলোর জন্য রপ্তানি বাণিজ্যে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিক ও কৌশলী পদক্ষেপ। সরকার আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করা হবে।

এই দুটি চিঠির মধ্যে একটি পাঠাবেন প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অপরটি পাঠাবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন, যা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিসে (USTR)।

চিঠির মূল বার্তা কী থাকবে?

রোববার (৬ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চিঠিতে অন্তত আরও তিন মাস ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকার কীভাবে রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করতে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কী পদক্ষেপ নেবে—তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। মূলত মার্কিন প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি উভয় দেশের জন্য লাভজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।

চিঠির উদ্দেশ্য: বিজনেস-বান্ধব বার্তা ও মার্কেট এক্সেস নিশ্চিতকরণ

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “চিঠিতে যেটা থাকবে, তা হবে ব্যবসাবান্ধব এবং বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষায় কার্যকর। আমাদের লক্ষ্য হবে মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার বজায় রাখা এবং আরও বাড়ানো। যেন বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।”

তিনি আরও বলেন, “এই চিঠি শুধু অনুরোধ নয়, এটি একটি কৌশলগত বার্তা—যার মাধ্যমে আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। এটা হবে উইন-উইন সিচুয়েশন।”

বিশেষ বৈঠকে কারা ছিলেন?

উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক, ফারুক হাসান, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

ব্যবসায়ীদের আশাবাদ

বৈঠক শেষে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের এই পদক্ষেপ তাদের আশাবাদী করে তুলেছে। তারা মনে করছেন, নতুন এই কৌশল বাস্তবায়ন হলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে। তারা বলেন, “আজকের বৈঠকে আমরা যেসব নির্দেশনা পেয়েছি, তা আমাদের জন্য দিকনির্দেশক এবং স্বস্তির। সরকার যে গুরুত্বসহকারে বিষয়টি বিবেচনা করছে, তা প্রমাণিত হয়েছে।”

শেষ কথা: বাংলাদেশ প্রস্তুত, এখন নজর ওয়াশিংটনের দিকে

বাংলাদেশ সরকারের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশ এখন অনেক বেশি সচেতন ও কৌশলী। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কী ধরনের সাড়া আসে। তবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়—এই উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও দৃঢ় করতে এবং বৈদেশিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

لم يتم العثور على تعليقات