close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

যুক্ত রাষ্ট্র ‘প রমা ণু হা ম লার জবাব দেবে’ শুনেই ক্ষে পণা স্ত্র ছো'ড়ে উ'ত্তর কো'রি'য়া!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাল্টা আঘাত হানবে—এমন হুঁশিয়ারির জবাবে ক্ষিপ্ত উত্তর কোরিয়া ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পিয়ংইয়ংয়ের উপকণ্ঠ থেকে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কোরীয় ..

পারমাণবিক উত্তেজনায় কাঁপছে কোরীয় উপদ্বীপ। যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু হামলা চালায়, তাহলে তা সহজে সহ্য করবে না কিম জং উনের প্রশাসন। আর যদি দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক হামলার শিকার হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রই সরাসরি পাল্টা আঘাতে এগিয়ে যাবে—এমন ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। আর এই ঘোষণা শুনেই যেন অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছে উত্তর কোরিয়া।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “সিউলে যদি পারমাণবিক আক্রমণ হয়, তবে তার জবাব দেবে ওয়াশিংটন। এটি কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং দুই দেশের নিরাপত্তা চুক্তির অংশ হিসেবেই কাজ করবে।” এই হুঁশিয়ারির কিছুক্ষণের মধ্যেই পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে একযোগে ছোড়া হয় ১০টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম।

এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্তৃপক্ষ স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে শনাক্ত করেছে। এসব মিসাইল মূলত কয়েক মিনিটে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সিউলসহ বিভিন্ন শহরে আঘাত হানতে সক্ষম। যদিও উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে এখনো এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি, তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে সরাসরি ‘বার্তা’ দেওয়ার অংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক মহলের নিষেধাজ্ঞা ও সমালোচনার তোয়াক্কা না করেই দীর্ঘদিন ধরে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যদিও কিম প্রশাসন এসব পদক্ষেপকে ‘আত্মরক্ষার প্রস্তুতি’ বলে দাবি করে আসছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা পরিচালক আরও বলেন, “যদি কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেন, তবে সেটি কেবল যুদ্ধ ঘোষণা নয়, বরং আত্মহননের সমান হবে। যুক্তরাষ্ট্র তা কখনোই সহ্য করবে না।

এ ধরনের পরস্পরবিরোধী অবস্থানকে কেন্দ্র করে কোরীয় উপদ্বীপে আবারও ছায়া ফেলছে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা। এমন প্রেক্ষাপটে অঞ্চলটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জাপান, চীন ও রাশিয়ারও। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার হঠাৎ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, যা অনেকে ‘সামরিক মহড়া’র নামে আক্রমণের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচনা করছেন।

এদিকে, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি, তারা কীভাবে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যৌথ প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২3 সালের পর থেকে উত্তর কোরিয়া একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবারের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ঘটনাটি ব্যতিক্রমীভাবে তাৎক্ষণিক এবং একটি সরাসরি হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে কোরীয় উপদ্বীপ। কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে, আর ঘনিয়ে আসছে সংঘাতের মেঘ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন পিয়ংইয়ং এবং ওয়াশিংটনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

コメントがありません