close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

যুক্ত রা ষ্ট্র যদি ই রা ন-ইস রা য়েল যু দ্ধে নামে, ‘স্বপ্নের ডলার’ ছা ই হয়ে যাবে হু ম কি কাতা য়েব হিজ বু ল্লাহর....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান-সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়া কাতায়েব হিজবুল্লাহ স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে— যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ালে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, বিমান, প্রণালি ও তেলবন্দরগুলোতে ধ্বংসাত্মক হাম..

মধ্যপ্রাচ্য যখন ইরান ও ইসরায়েলের টানটান উত্তেজনায় প্রায় বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি হুমকি দিল ইরান-সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাতায়েব হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির শীর্ষ নিরাপত্তা নেতা আবু আলী আল-আস্কারি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন— ওয়াশিংটন যদি এই যুদ্ধে অংশ নেয়, তবে তার ফল হবে ভয়াবহ এবং ঐ অঞ্চলের মার্কিন সামরিক স্বপ্ন চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আবু আলী আল-আস্কারি যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দিয়ে বলেন,-যদি আমেরিকা এই যুদ্ধে অংশ নেয়, তবে উন্মাদ ট্রাম্পের সেই স্বপ্ন— যে স্বপ্নে সে এই অঞ্চল থেকে ট্রিলিয়ন ডলার আয় করতে চেয়েছিল, তা চিরতরে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, গোষ্ঠীটির হাতে ইতোমধ্যে ‘অপারেশনাল পরিকল্পনা’ তৈরি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন সামরিক পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে তা বাস্তবায়নে একটুও দেরি করা হবে না।

আল-আস্কারি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন,- মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সামরিক ঘাঁটি এখন শিকারির দৃষ্টিতে আছে। যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তবে এই ঘাঁটিগুলোতে একযোগে বিস্ফোরণ হবে।

আল-আস্কারির বক্তব্যে আরও চাঞ্চল্য ছড়ায় যখন তিনি বলেন, -পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের মাঝখানে অবস্থিত বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে যোগ করেন, -“দক্ষিণে লোহিত সাগরের প্রবেশপথ বাব-আল-মানদেব প্রণালিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে পুরো সমুদ্রপথ কার্যত অচল হয়ে পড়বে।

এতে বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে, কারণ লোহিত সাগরের পাশেই রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তেলবন্দরগুলো, যা বিশ্বের অনেক দেশেই জ্বালানি সরবরাহ করে। আল-আস্কারি বলেন,-এই তেলবন্দরগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। আকাশপথেও মার্কিন বিমানগুলোর জন্য রয়েছে অপ্রত্যাশিত চমক।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাতায়েব হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি ড্রোন হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই হামলায় জর্দান-সিরিয়া সীমান্তবর্তী মার্কিন সামরিক চৌকি ‘টাওয়ার ২২’-এ তিনজন মার্কিন সেনা নিহত৩০ জনের বেশি আহত হয়।

এ হামলার দায় নেয় ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক নামের একটি জোট, যার অধীনে বহু ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাজ করে। তারা দাবি করে, ওই হামলা ছিল মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাবের বিরুদ্ধে তাদের চলমান প্রতিরোধের অংশ।

আল-আস্কারির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে বিশ্লেষকরা সেই ধারাবাহিকতারই নতুন ধাপ হিসেবে দেখছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বাড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিকভাবে তাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য এক ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। কাতায়েব হিজবুল্লাহর এই হুঁশিয়ারি সেই ভয়ানক ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত বহন করছে।

এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র এখন চরম কৌশলগত সিদ্ধান্তের মুখে— তারা কি সরাসরি ইরানবিরোধী যুদ্ধে যুক্ত হবে, নাকি হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে সরে দাঁড়াবে?

Tidak ada komentar yang ditemukan