close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

জুভেন্টাস ফুটবলারদের সামনে বি স্ফো র ক প্রশ্ন ট্রাম্পের!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে হতবাক হয়ে গেলেন জুভেন্টাসের ফুটবলাররা! হোয়াইট হাউস সফরে গিয়ে এমন এক প্রশ্ন শুনতে হল, যা নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য—পুরুষ দলে নারীর খেলা নিয়ে..

ক্লাব বিশ্বকাপের মঞ্চে দুর্দান্ত সূচনা করেছে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। গ্রুপ ‘জি’-এর প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইন-কে একেবারে বিধ্বংসী পারফরম্যান্সে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে তারা। ফুটবল মাঠে এমন আগ্রাসী শুরু যেমন নজর কাড়ে, তেমনই একদিন আগের একটি ঘটনা এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে।

ম্যাচের আগের দিন জুভেন্টাসের খেলোয়াড় এবং ক্লাব কর্মকর্তারা পা রাখেন বিশ্বখ্যাত হোয়াইট হাউসে। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে জুভেন্টাস পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে উপহার দেওয়া হয় ক্লাবের একটি সাদা-কালো জার্সি—যা খুবই স্বাভাবিক ছিল প্রটোকলের অংশ হিসেবে।

কিন্তু তারপরই ঘটে এমন কিছু, যা উপস্থিত সবাইকে হতচকিত করে দেয়।

ট্রাম্প আচমকা এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন খেলোয়াড়দের দিকে:
"তোমাদের পুরুষ দলে কি নারীরাও খেলে?"

শুধু প্রশ্ন নয়, এর মাঝে লুকিয়ে ছিল ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের নিয়ে বিতর্কিত ইঙ্গিতও। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেও স্পোর্টসে ট্রান্সজেন্ডার অংশগ্রহণ নিয়ে নানা মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। কিন্তু একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্লাবের পুরুষ দলের সামনে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া সত্যিই বিস্ময়ের।

প্রশ্নটি শুনে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যান জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা। তারা কেউ সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। পুরো পরিস্থিতি সামাল দেন ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার ড্যামিয়েন কোমানি

কোমানি কৌশলে উত্তর দেন,
“তা হবে কেন? আমাদের শক্তিশালী নারী দলও রয়েছে। হয়তো এনিয়ে আপনার (ট্রাম্পের) কোনো ধারণা নেই।”

কোমানির এমন সংযত ও বুদ্ধিদীপ্ত জবাবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে মুখে কিছু না বললেও ফুটবলারদের অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠেছিল বিস্ময় ও অস্বস্তি।

ট্রাম্পের এমন প্রশ্ন কেবল কৌতূহলের জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি বিশ্লেষণযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের খেলায় অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক লেগেই আছে। এর মাঝেই জুভেন্টাসের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের সামনে এমন মন্তব্য রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

যদিও জুভেন্টাস নিজেদের মাঠের খেলায় শতভাগ মনোযোগী হয়ে উঠেছে, তবে ট্রাম্পের করা প্রশ্ন নিয়ে মিডিয়ায় জোর আলোচনা চলছে। কেউ কেউ একে রসিকতা হিসেবে নিচ্ছেন, কেউ আবার বলছেন—এটি ছিল ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক বার্তা ছড়ানোর এক উপায়

একটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকেও কীভাবে বিতর্কে পরিণত করা যায়, তার এক স্পষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকলো হোয়াইট হাউসের এই মুহূর্ত। জুভেন্টাসের ফুটবলাররা মাঠে যেমন পারফর্ম করছেন, তেমনি মাঠের বাইরের রাজনীতিক মোড়ানো পরিস্থিতিও দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিচ্ছেন—যার প্রশংসা প্রাপ্য।

এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে,
রাজনীতি কি খেলাধুলার একেবারে বাইরে রাখা সম্ভব? নাকি সেলিব্রিটি, অ্যাথলেট ও রাষ্ট্রনায়কদের একে অপরকে স্পর্শ করাটাই এখন নতুন স্বাভাবিক?

সময়ই দেবে এই প্রশ্নের উত্তর। তবে ট্রাম্পের সেই একটি প্রশ্ন হয়তো বহুদিন থেকে যাবে জুভেন্টাসের ফুটবলারদের স্মৃতিতে—বিতর্কিত, কিন্তু অবিস্মরণীয় এক সফরের অংশ হিসেবে।

Tidak ada komentar yang ditemukan