যুবদলের কবলে বগুড়ার শীর্ষ যুবলীগ নেতা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দলীয় পদত্যাগের খবরে রাজধানীতে তাণ্ডব, মিছিল করতে এসে যুবদলের হাতে 'আটক' – ভিডিও ভাইরাল"..

রাজধানীর রাজনীতির উত্তাল আবহে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির মাঝে এবার সরাসরি সম্মুখ সংঘর্ষে জড়ালেন দুই প্রতিপক্ষ যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে ঢাকার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনেই যুবদলের নেতাকর্মীরা আটকের দাবি করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৩ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে। বিষয়টি আলোড়ন তোলে তখনই, যখন সুজন আহমেদ নামের এক ব্যক্তি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন—
"ইউনূস সরকার পদত্যাগ করবে শুনে বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ঢাকা আম্লীগের পার্টি অফিসের সামনে মিছিল করতে এসে যুবদলের হাতে আটক হয়।"

ভিডিওটি পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এটি ভাইরাল হয়ে পড়ে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপ ও পেজে। অনেকেই এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ কেউ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পোস্ট করছেন দলীয় অবস্থান থেকে।


কী ঘটেছিল সেই রাতে?

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করেই কয়েকটি দলভিত্তিক মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। বগুড়া থেকে আসা যুবলীগ নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে বিক্ষোভে অংশ নেয়। এরই মধ্যে একদল যুবদল কর্মী হঠাৎ করে সেই মিছিল লক্ষ্য করে এগিয়ে আসে। কিছুক্ষণ তর্কাতর্কির পর একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

যুবদলের একজন কর্মী জানান, "আমিনুল ইসলাম নিজেই পরিচয় দেন, তিনি বগুড়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমাদের সন্দেহ হলে তাকে ধরে রাখা হয়, পরে ভিডিও করে ছেড়ে দিই।"

তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা গেছে?

ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ভীত কণ্ঠে নিজের নাম ও পরিচয় দিচ্ছেন। পাশে কয়েকজন যুবক ঘিরে রেখেছে তাকে। একজন বলছেন, "তুমি মিছিল করতে এসেছো কেন?" — উত্তরে ওই ব্যক্তি বলেন, "আমি বগুড়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, শান্তিপূর্ণভাবে এসেছি।"

ভিডিওটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে প্রকাশ্য হুমকি ও অপমানজনক পরিস্থিতি বলে অভিহিত করে ।


সারসংক্ষেপে:
রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে বিরোধী দলের হাতে ক্ষমতাসীন দলের একজন জেলা নেতা "আটক" হওয়ার ভিডিও ভাইরাল—এটি নিছক একটি ঘটনা নয়, বরং রাজনীতির ভবিষ্যৎ সংঘাতের সঙ্কেত। এখন দেখার বিষয়, দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কীভাবে এই চরম উত্তেজনার মোড় ঘোরাতে সক্ষম হয়।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি