যু ক্তরা ষ্ট্র কে ফের সত র্ক বা র্তা ইরা কের কাতাইব হিজবুল্লাহর....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরাইলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরাকভিত্তিক ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ। মধ্যপ্রাচ্যে রণসজ্জায় তিন ইরানঘনিষ্ঠ শক্তি, ..

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আগুন যেন দিন দিন আরও তীব্র হয়ে উঠছে। সর্বশেষ হুঁশিয়ারিটি এসেছে ইরাকভিত্তিক প্রভাবশালী সশস্ত্র সংগঠন কাতাইব হিজবুল্লাহ থেকে। এই ইরানপন্থি গোষ্ঠী সরাসরি বলে দিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তার ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

শুক্রবার, ২০ জুন, কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সংগঠনটির মুখপাত্র আবু আলি আল-আস্কারি এক বিবৃতিতে এমন হুমকি দেন।

যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের আক্রমণে অংশ নেয়, তাহলে উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধাগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।

এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলো শিকারি মাঠে পরিণত হবে। হরমুজ ও বাব আল-মান্দেব প্রণালী বন্ধ হয়ে যাবে। লোহিত সাগরের সব তেলবন্দর অচল হয়ে পড়বে। এমনকি আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানগুলোর অবস্থাও হবে শোচনীয়।

এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময় এলো, যখন লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা নাঈম কাশেম এক দীর্ঘ বিবৃতিতে ইরানের পাশে থাকার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যদি আগ্রাসন চালায়, তাহলে হিজবুল্লাহ নিশ্চুপ থাকবে না। আমাদের প্রতিরোধ শক্তি সর্বদা প্রস্তুত।

এই ঘোষণাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের ভৌগলিক ও কৌশলগত মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইরাকের কাতাইব হিজবুল্লাহ—এই তিনটি গোষ্ঠী এখন একক প্রতিরোধ মঞ্চে অবস্থান করছে। তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের আগ্রাসন রুখতে তারা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়বে।

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ঘনিয়ে আসছে যুদ্ধের দিকে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে,

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের পক্ষে সক্রিয় সামরিক অংশগ্রহণ করে,

  • আর কাতাইব হিজবুল্লাহ ও লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ শুরু করে,

তাহলে হরমুজ প্রণালী থেকে শুরু করে লোহিত সাগর পর্যন্ত তেল পরিবহন বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার প্রভাব পড়বে পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে।

যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে দিতে সময় লাগে না, বিশেষ করে যখন একদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল এবং অন্যদিকে একজোট ইরানপন্থি গোষ্ঠীরা রণসজ্জায় প্রস্তুত।
এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এমন এক বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে একটি ভুল পদক্ষেপই পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিতে পরিণত করতে পারে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली