close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

যু ক্ত রা ষ্ট্রে র রা ষ্ট্র দূ তে র সঙ্গে বৈঠকে উ ত্ত প্ত আলোচনা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে মুখ খুললেন আমীর খসরু। দিলেন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, তুললেন সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। কী ঘটেছে বৈঠকে? জানুন পুরো内幕।..

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ—এই সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আজ রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে উঠে আসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা, যা নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে দেশের রাজনীতিতে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আমীর খসরু বলেন, "বাংলাদেশে গণতন্ত্র চরমভাবে বিপন্ন। মানবাধিকার লঙ্ঘন এখন একটি নিয়মিত চিত্র। আমরা এই বৈঠকে স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছি—বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ আজ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যেন তারা এই সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখেন।”

আমীর খসরুর বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি আরও জানতে চেয়েছেন—বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কী।

এ বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, “রাষ্ট্রদূত খুব মনোযোগ দিয়ে আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আমরা তাকে জানিয়েছি, বিএনপি একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। আমরা কোনও সহিংসতা চাই না, তবে জনগণের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

বৈঠকের এক পর্যায়ে সরকারকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন খসরু। বলেন, “বর্তমান সরকার একনায়কতান্ত্রিকভাবে দেশ চালাচ্ছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে আমরা অনুরোধ করেছি—তারা যেন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির কৌশল কী হবে—এ নিয়ে প্রশ্ন করলে খসরু বলেন, “আমরা কোনও তামাশার নির্বাচন চাই না। যে নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার থাকবে না, তাতে অংশগ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না।”

তিনি আরও যোগ করেন, যতদিন না একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। জনগণই আমাদের শক্তি।

বৈঠক শেষে আমীর খসরু আশাবাদ প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক চাপ ও গণআন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে।”

এই বৈঠক শুধু একটি কূটনৈতিক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন আলোড়নের জন্ম দিয়েছে। আমীর খসরুর বক্তব্যে স্পষ্ট, বিএনপি এখন আগের চেয়ে আরও সংগঠিত এবং দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া এখন কতটা কার্যকর হবে, সেটিই দেখার বিষয়।

Walang nakitang komento