close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

যু ক্ত রা ষ্ট্রে র হা ম লা র জবাবে পা র মাণবিক অ স্ত্রে ঝুঁকছে ই রা ন?..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষিপ্ত ইরান এনপিটি থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি গোপনে এগিয়ে নিতে পারে তেহরান। মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা।..

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক উত্তেজনার আশঙ্কায় উত্তাল হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন। ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নিকোলাস মিলার আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই হামলা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) থেকে সরে যেতে বাধ্য করতে পারে। শুধু তাই নয়, তেহরান হয়তো এবার গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকেই আরও জোর দিতে পারে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কারণে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পরিকল্পনা কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে—এটি শুধু সাময়িক জয়ের মতো। কিন্তু এর বদলে ইরান এখন এনপিটির বাধা ছিন্ন করে গোপনে এগোতে পারে।’’ মিলার আরও যুক্ত করেন, এই হামলা ইরানের জন্য রাজনৈতিক সুযোগ" তৈরি করেছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করার পর থেকেই এই উত্তেজনার সূচনা হয়। ঐ চুক্তিটি কার্যকর থাকলে, ইরানকে অন্তত ১৫ বছর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা থেকে দূরে রাখা যেত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

মিলার ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘‘যারা একসময় চুক্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল, আজ তারাই হামলার পক্ষে কথা বলছে।’’

ইরান যদি সত্যিই এনপিটি (NPT) চুক্তি থেকে সরে যায়, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বাধা ছাড়াই তারা গোপনে পারমাণবিক কার্যক্রম চালাতে পারবে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-র পর্যবেক্ষণ তখন আর কার্যকর থাকবে না।

তেহরান যদিও বারবার দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ" এবং "চিকিৎসা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের  জন্য, তবু পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই বক্তব্যে আস্থা রাখছে না।

ইরানকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালালেও, মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র স্বীকৃত নয়—কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ ইসরায়েল। দেশটি এখনো এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, এবং তাদের অস্ত্রাগার সম্পর্কে সবই গোপন।

এই ঘটনার ফলে কূটনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন উঠেছে—যুদ্ধ, না চুক্তি? মিলার বলেন, তথ্য বলছে হামলা ইরানকে আরও উগ্র হতে সাহায্য করছে, শান্তি নয়।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পারমাণবিক চুক্তি পুনরায় কার্যকর না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তেহরান যদি সত্যিই এনপিটি থেকে বের হয়ে গোপনে অস্ত্র বানাতে শুরু করে, তাহলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, সারা বিশ্বই বিপদে পড়তে পারে।

যেখানে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ খোলা ছিল, সেখানে বোমা বর্ষণ হয়তো সেই সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। এখন সময় প্রশ্ন করার—এই আগুনে কে ঘি ঢালছে? চুক্তি বাতিল নাকি বোমা বর্ষণ, কোনটা সত্যিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে? তেহরান যদি পারমাণবিক পথে হাঁটে, তাহলে হয়তো এক নতুন যুদ্ধের সূচনা আরেকবার।

कोई टिप्पणी नहीं मिली