যশোরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে । শাহিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি রোববার যশোর সদর আমলী আদালতে মামলা করেছেন। এর আগে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে কর্মরত। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুবাইদা রওশন আরা তার অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।তিনি যশোর শহরতলীর শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে।আর অভিযুক্ত কারারক্ষী মনিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর শহরতলীর শেখহাটির বাসিন্দা। শাহিনুর রহমানের অভিযোগ, শেখহাটি এলাকায় বসবাসের সুবাদে কারারক্ষী সোহাগ হোসেনের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সোহাগ হোসেন তাকে জানান, কোনো ইচ্ছুক প্রার্থী থাকলে তিনি তাকে চাকরি পাইয়ে দিতে পারবেন। তখন শাহিনুর রহমান বলেন, তার ভাগ্নি বর্ষা খানম চাকরি করতে ইচ্ছুক আছেন। এ কথা শুনে বর্ষা খানমকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন সোহাগ হোসেন। তার প্রস্তাবে রাজী হয়ে ভাগ্নি বর্ষা খানমকে কারারক্ষী পদের চাকরির জন্য চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সোহাগ হোসেনকে ১৫ লাখ টাকা দেন শাহিনুর রহমান। ৩শ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে ১৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন সোহাগ হোসেন। কথা ছিলো, বর্ষা খানমকে ৩ মাসের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দিতে না পারলে ক্ষতিপূরণসহ ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিবেন সোহাগ হোসেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্ষা খানমকে কারারক্ষী পদে চাকরি পাইয়ে ব্যর্থ হন তিনি। এ কারণে শাহিনুর রহমান তার দেওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত চান। তখন টাকা ফেরত দিতে নানা টালবাহনা করতে থাকেন সোহাগ হোসেন। সর্বশেষ গত ২০ জুন শাহিনুর রহমান তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সোহাগ হোসেন দিতে অস্বীকার করেন।
close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
Nessun commento trovato