জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য ড. ইউনূস সস্তা নাটক করছেন” — রুমিন ফারহানা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে ‘পরিকল্পিত নাটক’ মঞ্চস্থ করেছেন। তার দল এনসিপির মাধ্যমে ‘পরোক্ষ পদত্যাগের বার্তা’ ছড়ানোর পেছনে রয়েছে গভীর রাজনৈত..

ঢাকা, ২৩ মে – সদ্য ঘটা কিছু রাজনৈতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মকাণ্ডকে 'সস্তা নাটক' আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনূস গণমানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ‘একটি আবেগনির্ভর পরিকল্পনার’ অংশ হিসেবে এমন কৌশল নিয়েছেন।

রুমিন বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটেছে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়—ড. ইউনূস সরাসরি পদত্যাগ করেননি, তবে তাঁর রাজনৈতিক দল এনসিপির মাধ্যমে সে বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ড. ইউনূস সরে দাঁড়াতে পারেন’। এটি একটি পরোক্ষ নাটকীয় সংকেত।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কেন বিএনপি চারবার চেষ্টা করেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেনি, অথচ এনসিপি মাত্র একবারেই তা করতে পেরেছে? এনসিপির সঙ্গে সরকারের অভ্যন্তরে যোগাযোগ থাকাই কি এর মূল কারণ? নাহিদ ইসলামের পাশাপাশি মাহফুজ, আসিফ, হাসনাত আবদুল্লাহর মতো ব্যক্তিরা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন, যা একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ইঙ্গিত বহন করে।”

রুমিন আরও বলেন, “যেসব খবর গণমাধ্যমে আসে না, সেগুলোই প্রকৃত খবর। যারা এই ধরনের বৈঠকে থাকে, তারাই ঠিক করে কোন বার্তা মিডিয়ায় যাবে। হঠাৎ করে ড. ইউনূস কেন এসব কথা নাহিদের মাধ্যমে বলালেন? এটা কি কৌশলগত ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা, নাকি গণমানুষের সহানুভূতি অর্জনের জন্য একধরনের কৌশল?”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “নয় মাসে ড. ইউনূস একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা একরকম ‘সফলভাবে ব্যর্থ’ হওয়ার দৃষ্টান্ত। তাঁর উপদেষ্টা পরিষদও কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।”

রুমিন বলেন, “ড. ইউনূস এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যেখানে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। সেনাবাহিনী পর্যন্ত তাঁর নীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এমনকি আওয়ামী ঘরানার কিছু ছাত্রনেতা সেনাপ্রধানকে নিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তা অকল্পনীয় ও রাষ্ট্রবিরোধী।”

তিনি যোগ করেন, “এই সেনাপ্রধান একজন পরিপক্ব ও ধৈর্যশীল ব্যক্তি। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। তাঁকে বারবার অপমানিত করা হয়েছে, অথচ তিনি ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন।”

সবশেষে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, “পুরো বিষয়টি একটি পরিকল্পিত নাটক। ড. ইউনূস জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চেয়েছিলেন—তিনি হয়তো আশা করেছিলেন, তাঁর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন উঠবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কেউ তাঁকে ফেরাতে এগিয়ে আসেনি। বরং বিএনপি এবং অন্যান্য বড় দল তাঁর কর্মকাণ্ডে বিরক্ত। শুক্রবার এনসিপি ঘনিষ্ঠরা বায়তুল মোকাররমে মিছিল করেছিল, যা ছিল নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্য। চেয়ারের মূল্য বোঝাতে চেয়ার খালি রাখা হয়েছে। অথচ এই দেশের রাজনীতিতে কখনো চেয়ারের সংকট হয় না—প্রত্যেকের বিকল্প থাকে।”

Tidak ada komentar yang ditemukan