জনগণের অনুমতি ছাড়া পদত্যাগের এখতিয়ার ইউনুস সরকারের নেই : ফয়জুল করীম..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতা ফয়জুল করীম স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—ইচ্ছেমতো পদত্যাগ করতে পারবেন না ইউনুস সরকার। জনগণ তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাদের মতামত ছাড়া সরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার তাঁর নেই। লক্ষ্মীপুরে আয়ো..

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এক স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনো ধরনের গুঞ্জন বা চাপের মুখে নয়, বরং জনগণের সিদ্ধান্ত ছাড়া ইউনুস সরকার পদত্যাগ করতে পারবেন না। তাঁর ভাষায়, “আপনি ইচ্ছামতো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, কারণ সেই ক্ষমতার আসনে আপনাকে বসিয়েছে জনগণ, নিজের ইচ্ছায় নয়।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের জেলা কার্যালয়ে ইসলামী যুব আন্দোলনের ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেখানে উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মীর সামনে তিনি বলেন, “এই চেয়ারটা আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। জনগণের আশাবাদের প্রতীক আপনি। জনগণের ইচ্ছার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সেটি দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা আজ আপনাকে পদত্যাগ করতে বলছে, তারা চায় না দেশে স্থিতিশীলতা থাকুক। কিন্তু জনগণ শান্তি চায়, বৈষম্যহীন সমাজ চায়, এবং একজন এমন নেতাকে চায় যিনি নিরপেক্ষভাবে দেশ চালাবেন। আপনি সেই বিশ্বাসের প্রতীক। তাই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়া মানে হবে সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করা।”

ভারতের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আপনার কোনো সিদ্ধান্ত এমন হবে না, যাতে ভারতীয় সরকার কিংবা মোদি খুশি হয়। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ, কোনো বাইরের শক্তি নয়। আমরা ভারতের চাপের জিঞ্জিরা থেকে মুক্ত হতে চাই।”

তিনি এক হাত তুলে বলেন, “আপনি যদি এখন পদত্যাগ করেন, তাহলে ভারত খুশি হবে, তাদের জনতা হাসবে, মোদি সরকার উল্লাস করবে। কিন্তু আমরা কি চেয়েছিলাম সেটা? বরং আপনার উচিত এমন সিদ্ধান্ত নেয়া, যেখানে বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে।”

এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি শরাফত করীম জিহাদী।
আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুর জাহের আরেফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, সেক্রেটারি জহির উদ্দিন, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা মোখলেছুর রহমান এবং সেক্রেটারি শোরাফ উদ্দিন স্বপন।

এটি ছিল একটি রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং একটি আদর্শিক অবস্থান।
ফয়জুল করীমের কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা, তার বক্তব্যে ছিল জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও নেতৃত্বের দায়িত্ববোধের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। এখন দেখার বিষয়, ইউনুস সরকার কী সিদ্ধান্ত নেন।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator