রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়, তখন কোনো শক্তিই তা বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।
রাজনীতির অঙ্গনে নতুন বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—যখন জনগণ নির্বাচনমুখী হয়, তখন সেই গণতান্ত্রিক যাত্রাকে কোনো শক্তিই বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে তারিখে নির্বাচন ঘোষণা করেছেন, সেই তারিখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রক্রিয়াকে কেউ বন্ধ করতে পারবে না।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কঠোর সুরে বলেন, দেশে কোনো চাঁদাবাজের জায়গা নেই। যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো যোগ করেন, সরকার এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর, যেখানে সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে।
বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে শাক-সবজির দাম বেড়েছে। যদিও বাজারে প্রচুর আলু মজুত আছে, তবে পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা চাপে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রকৃত কৃষকরা তাদের প্রাপ্য দাম পাচ্ছেন না, বরং মধ্যস্বত্বভোগীরাই লাভবান হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাজারে স্থিতিশীলতা আনা এবং কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা। এজন্য কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।”
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এই বক্তব্যে একদিকে যেমন নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা দূর করার ইঙ্গিত মেলে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতির বার্তাও স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
এমন সময়ে তার এই ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে যে নানা গুঞ্জন চলছে, তার মাঝে সরকারের দৃঢ় অবস্থান সাধারণ মানুষের আস্থাকে আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনগণ যখন ভোটমুখী হয়, তখন সেই গণতান্ত্রিক স্রোত থামানো যায় না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যও সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
দেশের ভোটাররা তাই এখন অপেক্ষা করছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সরকারের পক্ষ থেকে যে শক্ত বার্তা দেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে গণতন্ত্রের ধারা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল।